জর্ডানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল মঙ্গলবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছে জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস। একই সঙ্গে শুভসূচনা করা হয়েছে বছরব্যাপী ‘মুজিব শতবর্ষ’ উদযাপন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণজমায়েতের উপর দেশটির সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়। দূতাবাস কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা ছাড়াও কিছু সংখ্যক জর্ডানপ্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন।

দিবসের কর্মসূচির শুরুতে সকালে রাজধানী আম্মানে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান। এসময় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. বশির এবং প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

Travelion – Mobile

এ উপলক্ষে দূতাবাসের হল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাণী পড়ে শোনানো হয়।

এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর উন্মুক্ত আলোচায়য় তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’সহ অন্যান্য প্রকাশিত লেখার ওপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করা হয় ।

আলোচনায় রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১–এর মহান স্বাধীনতা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রথম তিন বছরে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পররাষ্ট্রনীতিসহ যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, আজ ৫০ বছরে বাংলাদেশ তার বেশির ভাগই পূর্ণ করেছে, বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল দাবিদার বঙ্গবন্ধুর ওই সময়কালীন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা।

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সােনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রােল মডেলে পরিণত হয়েছে তার বীজ রােপণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।”

তিনি বঙ্গবন্ধু চেতনা বুকে ধারণ করে দেশের বর্তমান উন্নয়ন যাত্রায় ঐক্যবদ্ধভাবে শরীক হতে জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের উদ্বোধন করেন।

সব শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!