চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন

“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর দূরদর্শী পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশের সংবিধানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২০-এর আলােচনা সভায় এমন অভিমত চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামানের।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাজধানী বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের দোয়েল হলে আয়োজিত আলোচনার সভার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক অবদানের বিষয়টি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

Travelion – Mobile

তিনি বলেন, “শোষণহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে ২০২১ সাল নাগাদ একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।”

আলোচনার স্বাগত বক্তব্যে দূতাবাসের উপপ্রধান মাসুদুর রহমান বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সুদূরপ্রসারী ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ধাপে ধাপে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের চিত্রটি বিধৃত করেন।”

তিনি মুজিববর্ষের স্লোগান-“মুজিববর্ষের কূটনীতি, প্রগতি ও সম্প্রীতি”র মাধ্যমে রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের উপর তাগিদ দেন।

কোভিড-১৯ (করােনাভাইরাস) আক্রান্ত চীনের বিশেষ পরিস্থিতিতে চীনা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত পরিসরে মুজিববর্ষের আয়োজন করতে হয়। দিবসের কর্মসূচির শুরুতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোল করেন রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান । এরপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মেনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন  রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান

দূতাবাসের উপ-প্রধান এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।

এরপর আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক এই দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পড়ে শোনান দূতাবাস কর্মকর্তারা।

এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন, আদর্শ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের তথ্য সম্বলিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল কবিতা আবৃত্তি।

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস একটি বয়সভিত্তিক অনলাইন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে আগতদের মধ্যে “বঙ্গবন্ধুর ভাষণ”-এর উপর সংকলিত একটি গ্রন্থ এবং কবিতা ও রচনাবলী এর একাধিক সংকলন বিতরণ করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!