চীনে করোনায় একদিনেই ১০০ জনের মৃত্যুের রেকর্ড

চীনে প্রাণঘাতী ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস আরো ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা একদিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যার রেকর্ড।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের এমন কয়েকটি ঘটনার সন্ধান পাওয়া গেছে; যারা কখনই চীন ভ্রমণ করেননি। এটা এই ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার দিকে ইঙ্গিত করে।

এদিকে, পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরে বলেছে যে বেইজিং করোনা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতা করছে না। জেনেভা থেকে রবিবার এক টুইট বার্তায় ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেবিয়াসেস বলেছেন, করোনাভাইরাস দ্রুত চীনের বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে। বিস্তার রোধে চীনের পদক্ষেপ খুবই ধীর বলে মনে হচ্ছে, করোনার বিস্তার রোধ করতে হলে আরো দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

Travelion – Mobile

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৯০৯ জন মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি। চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৩০০ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বেশ কযেকজন মৃত্যুবরণ করেছে।

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ১৯৮ জনে। এই তথ্য জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য কমিশন। এখন পর্যন্ত শুধু হুবেই প্রদেশেই মারা গেছে ৭৮০ জন। এই হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা এখন সিঙ্গাপুরে। রবিবার নতুন করে আরো সাতজন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখন দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে দু’জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩৮ জনের মধ্যে বেশিরভাগেরই অবস্থা স্থিতিশীল।

মৃতের সংখ্যার দিক থেকে প্রাণঘাতী সাসর্কেও ছাড়িয়ে গেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা। ২০০৩ সালে সার্স সংক্রমণে চীনে মারা গিয়েছিল মোট ৭৭৪ জন। করোনারভাইরাসের মতো সার্স আক্রান্ত মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা যায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!