চীনে উইঘুর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ১৩০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

উইঘুর মুসলিমদের উপরে কয়েক দশক ধরে চলা চীনা নির্যাতন-নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার ব্রিটেনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিংয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ১৩০ জন ব্রিটিশ সাংসদ। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন হাউস অব কমন্স এবং হাউস অব লর্ডসের সদস্যরা।

চিঠিতে সরাসরিই বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত’ নিধনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। একসঙ্গে শতাধিক ব্রিটিশ সাংসদের চিঠি বেইজিংয়ের উপরে অনেকটাই চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।

ব্রিটিশ সাংসদরা চিঠিতে লিখেছেন,’উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীন যে আচরণ করে চলেছে তা অবশ্যই জাতিগত নির্মূলের উদ্দেশে করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবেই এই ধরনের নির্যাতন চালানো হচ্ছে। জার্মানিতে না‍ৎসিরা যে ধরণের অত্যাচার চালিয়েছিল, উইঘুর মুসলিমদের উপরেও সেই ধরণের অত্যাচার চলছে। জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমরা কীভাবে বসবাস করছেন সে সম্পর্কে সব কিছু প্রকাশ্যে আনতে হবে। বিশ্ববাসীর উদ্বেগ দূর করতেই এই পদক্ষেপ নিতে হবে বেইজিংকে।’

Travelion – Mobile

বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে ‘স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষা কেন্দ্রের’ নামে বিভিন্ন বন্দি শিবিরে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপরে আঘাত হানা হচ্ছে। উইঘুর মুসলিম নারী ও শিশুরাও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ও কর্মকর্তাদের নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।

যদিও উইঘুর মুসলিমদের উপরে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, চীন সরকার সর্বদা জাতিগত সংখ্যালঘুদের বৈধ অধিকার রক্ষা করে। চীনের অন্যান্য অংশের লোকদের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হয় উইঘুরদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!