চীনের হুবেইতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিবর্ণ ঈদ উদযাপন!
ঈদুল-ফিতরের মতই এবার ঈদুল আযহাও প্রবাসী শিক্ষার্থীরা অনেকটা সাদা মাটা আর বিবর্ণ রঙহীনভাবে ঈদ উদযাপন করেছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ৷ করোনাভাইরাসের কারণে এক সাথে বেশি জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঈদের জামাত করতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরির ছাদে ৷ করোনা পরিস্থিতির কারণে এসব শিক্ষার্থীরা চায়না থ্রি গরজেস ইউনিভার্সিটিতে আটকা পড়েন।
ঈদের পর দিন হুবের ইচাং সিটির মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চীনা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ঈদুল আযহার নামাজের আয়োজন করা হয় ৷ কিন্তু পরের দিনে মসজিদের জামাতের অপেক্ষায় না থেকে বেশীরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অনেকটাই সাদামাটাভাবে ঘরে এবং ভার্সিটির ডর্মে ঈদের নামায় আদায় করে নেন ৷
এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিন চায়না থ্রি গরজেস ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ কমিউনিটির শিক্ষার্থীরা এক সাথে বাংলাদেশি খাবার খেয়ে ঈদ উদযাপন ও সিনিয়র-জুনিয়র ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে৷ এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিনের বন্ধি অবস্থা থেকে একটু মুক্ত বাতাসে বের হতে পেরেছে ৷
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ও চীনে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যসহ সকলকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চীনের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ৷ এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ড. মোস্তাক আহাম্মেদ, দ্বীন মোহাম্মোদ প্রিয়, সাহেদুল ইসলাম, ডা. আশিক হাউলাদার আবির, ইসরাত জাহান, কাজি রাফসানাসহ অনেকেই ৷
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন সরকার দৃঢ় মনোবলে যথেষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে পেরেছিলো বলেই চীন আজকে বিশ্বে সফল ৷ মোটকথা চীনের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে- একথা বলা যায় ৷ তাই করোনা-সংকট কাটিয়ে ওঠা চীনে এখন মাস্ক পড়ে বের না হলেও চলে ৷
নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে চীন অভিনব কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলো ৷ প্রথমেই তারা আক্রান্ত ও ঝুঁকিতে থাকা লোকদের আলাদা করে ফেলেছিলো ৷
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া, গণ পরিবহন পরিহার করতে পরামর্শ দেওয়া, সংকটাপন্ন এলাকাগুলোতে নিয়মিত বিরতিতে জীবাণানাশক ছিটানো, সকল নাগরিককে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোরতা অবলম্বন করেছিলো চীন সরকার। ফলে চীনের হুবেইতে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই ৷