চীনা উড়োজাহাজ কিনে ধরা খেল নেপাল, বেঁচে গেল বাংলাদেশ
চীন থেকে উড়োজাহাজ কিনে ধরা খেল পার্শ্ববর্তী বন্ধুপ্রতীম দেশ নেপাল। চীনের কাছ থেকে ৬টি উড়োজাহাজ কিনেছিল নেপাল এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে ১৭ আসনের ওয়াই-১২ এবং ৫৬ আসনের এমএ-৬০ উড়োজাহাজ রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত খরচের কারণেই এই উড়োজাহাজগুলো চালাতে ব্যর্থ হয়েছে বিমানসংস্থাটি।
মজার ব্যাপার হল ‘উপযুক্ত নয়’ বলে কারিগরী দলের মতামতের ভিত্তিতে চীন থেকে এই ধরণের উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে আগ্রহী হন নি বাংলাদেশে। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশ দলও চীন গিয়েছিল এই উড়োজাহাজ কিনতে।
আপাতত উড়োজাহাজগুলো বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপালের জাতীয় বিমানসংস্থাটি । সেই সঙ্গে বেইজিংকে আপত্তি জানিয়েছে কাঠমান্ডু।
Nepal's national carrier – The Nepal Airlines is grounding its Chinese aircraft. A report claims that the planes had become a big liability for the airline.
Smells like case of corruption in Nepal's deal with China.@WIONews @palkisu tells more. #Gravitas pic.twitter.com/A8osgaUVeE
— Vicky 💛🌻 (@VickyAgarwalaVA) July 15, 2020
জি-টু-জি সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে দেখা যায় যে উড়োজাহাজগুলো নিতে নেপাল এয়ারলাইন্স বাধ্য হয়েছিল। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে এই বিক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, যখন বাংলাদেশ ও নেপাল উভয়ের প্রযুক্তিগত দলগুলি এমএ ৬০ এবং ওয়াই ১২ উড়োজাহাজগুলো দেখতে চীন সফর করেছিল।
বিমান বাংলাদেশের কারিগরী দলটি উড়োজাহাজগুলো “উপযুক্ত নয়” বলে মনে করেছিল এবং কিনতে আগ্রহী হয়নি। অন্যদিকে নেপাল এয়ারলাইন্স চীন বিমান পরিবহন শিল্প কর্পোরেশনের (এভিআইসি) সঙ্গে চুক্তিতে ছয়টি বিমান সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যায়। ২০১২ সালে তাদের মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি হয়। এর ফলস্বরূপ, চীন দুই বছর পরে নেপাল এয়ারলাইন্সকে একটি এমএ ৬০ এবং একটি ওয়াই ১২ উপহার দিয়েছিল।
কাঠমাণ্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে চীনের কাছে এই উড়োজাহাজগুলো ‘উপহার’ হিসেবে দিতে অনুরোধ করেছিল নেপাল। তবে তাতে রাজি হয়নি বেইজিং চীন সরকার শর্ত দিয়েছিল বিনা পয়সা পেতে নেপালকে কিছু উড়োজাহাজ কিনতে হবে। এরপর নেপাল এয়ারলাইন্স উড়োজাহাজগুলো কিনে নেয়।
তবে নেপাল এয়ারলাইন্স বোর্ডের সদস্য অচ্যুত পাহাড়ির মতে, এটি ছিল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত। দ্য পোস্টকে পাহাড়ি বলেন, “কমিশনের লোভ দেখিয়ে এগুলো কিনতে প্ররোচিত করা হয়েছিল। তারা [প্রযুক্তিগত দল] একটি মনগড়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। ওয়াই ১২ এর তুলনা টুইন ওটারের সঙ্গে করা হয়েছি এবং এমএ ৬০ কে এটিআর-৭২ এর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। নেপাল এয়ারলাইনস এখন মূল্য পরিশোধ করছে। এই উড়োজাহাজগুলি উড়ান মানে খারাপ কাজে ভাল অর্থ ফেলে দেওয়া। ”
নেপাল এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানিয়েছে,’উড়োজাহাজগুলো নেপালের জন্য উপযুক্ত ছিল না। তবে দুই সরকারের মধ্যে চুক্তির জেরে জোর করে গ্রহণ করতে হয়েছে।’
ওই বিমান কর্মকর্তা জানান, ‘চীনা উড়োজাহাজ কিনে ভুগতে হচ্ছে নেপালের এয়ারলাইন্সকে। এই গুলো ওড়ানো মানে, পানির মতো টাকা নষ্ট করা।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চ শিক্ষা : বাংলাদেশিদের সাফল্য ও নতুনদের করণীয়
দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চ শিক্ষা : বাংলাদেশিদের সাফল্য ও নতুনদের করণীয়১৪ জুলাই, মঙ্গলবার – দক্ষিণ কোরিয়া সময় : রাত ৯.৩০টা বাংলাদেশ সময় : বিকেল ৬.৩০ টা সঞ্চালনায় : ডা. মহিউদ্দিন মাসুমসমন্বয় : ওমর ফারুক হিমেলঅতিথি : ড. আশরাফ হোসেন রাসেল, সাবেক রিসার্চ প্রফেসর, কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ড. মো. হাসানুজ্জামান, পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো, উলসান বিশ্ববিদ্যালয় ড. মোহাম্মদ আজম খান, পোস্ট ডক্টোরাল ফেলোড. আবিদুর রহমান, গবেষক, কিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়https://www.facebook.com/akashjatrabd
Posted by AkashJatra on Tuesday, July 14, 2020