উত্তর মেসিডোনিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রিস থেকে দেশটিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করতে চাওয়া প্রায় চারশ অভিবাসীর প্রবেশ আটকে দেয়া হয়েছে।
রোববার উত্তর মেসিডোনিয়া পুলিশ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইউরোপোলের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি যৌথ অভিযানে গত চার দিনে প্রায় চারশ অভিবাসীকে অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করা থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এসকল অভিবাসীরা গ্রিস থেকে উত্তর মেসিডোনিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।
আরও পড়তে পারেন : ইউরোপ যাত্রা : ‘অসুস্থ সাগরকে জঙ্গলে ফেলে গেল দালাল ও সঙ্গীরা’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসকল অভিবাসীর বেশিরভাগই সিরিয়া এবং আফগানিস্তানের নাগরিক। ২৫ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত চারদিন ধরে চলা এই অভিযানে দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় দেখা যাওয়ার পর অভিবাসীদের আবারও গ্রিসে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
উত্তর মেসিডোনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অলিভার স্পাসোভস্কি স্থানীয় টিভি সিটেল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গ্রিস থেকে অবৈধভাবে প্রবেশের প্রচেষ্টা সাত শতাংশ বেড়েছে।
অভিবাসনের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
পুলিশের মতে, পশ্চিম ইউরোপের সমৃদ্ধ দেশগুলোর দিকে যাত্রার লক্ষ্যে বলকান রুট এই বছর আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ অনেক বলকান দেশ করোন মহামারি চলাকালীন আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ইউরোপোলের নেতৃত্বে পরিচালিত “অ্যাকশন ডেস – জেএডি ২০২২ দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ” নামের এই অভিযানটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এবং মাদক ব্যবসার পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসনকে দমন করার উদ্দ্যেশ্যে পরিচালিত হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন : ২৪ লাখ টাকায় ইতালিতে গিয়ে লাশ হল বাংলাদেশি যুবক
ইইউ সদস্য দেশগুলো ছাড়াও বেশ কয়েকটি পশ্চিম বলকান দেশ এই অভিযানে অংশ নেয়। এই অভিযানে ইইউ সীমান্ত রক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্সের সদস্যরাও যুক্ত ছিল।
গেল সপ্তাহের বুধবার উত্তর মেসিডোনিয়ার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই চুক্তির ফলে মূলত বলকান দেশটিতে ফ্রন্টেক্সের কর্মকর্তাদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়।