গাম্বিয়ার পাশে বিশ্বের ১৫০ দেশকে চায় কানাডা-নেদারল্যান্ডস

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে দায়ের করা মামলায় গাম্বিয়াকে সমর্থন জানাতে ১৫০ রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কানাডা ও নেদাল্যান্ডস ।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) যৌথ বিবৃতি এ আহ্বান জানিয়ে দেশ দুটি বলছে, যুগের পর যুগ ধরে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে নির্যাতন, হত্যা, আগুনে পুড়িয়ে মারা, অত্যাচার করতে করতে মেরে ফেলা, ধর্ষণসহ নানা অত্যাচার-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস মনে করে, এ অনাচারের ঘটনায় গাম্বিয়া যেভাবে মিয়ানমারকে আদালতের মুখোমুখি করেছে তাতে সবার সমর্থন জানানো উচিৎ। যেন মিয়ানমারে গণহত্যার জন্য প্রকৃত দোষীরা জবাবদিহিতার আওতায় আসে। এ জন্য জাতিসংঘের গণহত্যা সনদে (বিশ্বের ১৫০টি দেশ) যে সব রাষ্ট্র সই করেছে তাদের সবাইকে এই ইস্যুতে গাম্বিয়ার পক্ষে সমর্থন জানানো উচিৎ।

Travelion – Mobile

এদিকে, নেদারল্যান্ডসের হেগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে- আইসিজেতে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) শেষ দিনের শুনানিতে মিয়ানমারের বিপক্ষে যুক্তিতর্ক খণ্ডন শেষ করে গাম্বিয়া।

এই সময় গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর তামবাদু মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধে আদালতের কাছে ছয়টি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

এক বার্তায় আদালত জানিয়েছে, গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় সব পক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত খুব শিগগিরই তাদের পর্যবেক্ষণ জানিয়ে দেবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের লক্ষ্য করে অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। ওই অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও তাদের সম্পদ লুণ্ঠনের অভিযোগ ওঠে।

অভিযানের মুখে ১১ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। সে সময় মিয়ানমারের সেনা সদস্য, পুলিশ ও বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারীরা রোহিঙ্গাদের নিধনে সরাসরি অংশ নেয় বলে জাতিসংঘের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।

আগের খবর
স্যালুট টু গাম্বিয়া, শিক্ষা দিলে বিশ্বকে
আজ কাঠগড়ায় উঠছেন সু চি, মিয়ানমারকে বয়কটের ডাক
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ চার কর্মকর্তা

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!