লকডাউনে ক্লান্ত শ্রমিক ঘুমিয়ে পড়ে রেল লাইনে, পিষ্ট ১৬

লকডাউনে ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আটকে পড়েছিলেন শ্রমিকরা। নিজেদের বাড়ি ফেরার পথে ক্লান্ত হয়ে রেল লাইনেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের।

শুক্রবার ভোরে ভারতের মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, লকডাউনে ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে মহারাষ্ট্রে আটকে পড়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের এই শ্রমিকরা। মহারাষ্ট্রের জালনা থেকে ভূস্বাল যাচ্ছিল পরিযায়ী শ্রমিকরা। রেললাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় করমাদের কাছে লাইনের উপরেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ই ঘটে ওই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘুমের মধ্যেই শ্রমিকদের পিষে দিয়ে চলে যায় খালি তেল বহনকারী ট্রেনটি।

Travelion – Mobile

জানা গিয়েছে, রেল ট্র্যাকে বেশ কয়েকজন মানুষকে ঘুমোতে দেখে হর্ন দেন মোটর ম্যান। ট্রেনটিকে থামানোরও চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। ফলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে যে, মধ্যপ্রদেশের দিকে রওনা দেওয়া ওই শ্রমিকরা সম্ভবত ধরে নিয়েছিলেন যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকাতে যে লকডাউন জারি আছে তার জেরে কোনও ট্রেন চলাচল করছে না। সেই কথা ভেবেই দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে করতে ক্লান্ত হয়ে তাঁরা রেললাইনের উপরেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

শুক্রবার ভোরের এই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ জন। এঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

ঔরঙ্গাবাদ ট্রেন দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে। এতে খুবই কষ্ট পেয়েছি। চরম দুঃখ-কষ্ট করেছেন। রেলমন্ত্রী পিযূস গোয়েলের সঙ্গে কথা হয়েছে। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তিনি। প্রয়োজনীয় সব সহায়তা করা হবে।’

এদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া শ্রমিকদের পরিবারের জন্য সাহায্য চেয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া রাজ্যের তরফ থেকে শিবরাজ সিং চৌহান মৃতদের পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!