কোরিয়ায় বাংলা নববর্ষে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিকগোষ্ঠীর মনোজ্ঞ উপস্থাপনা

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিকগোষ্ঠীর শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অত্যন্ত বর্ণাঢ্যভাবে বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ উদযাপন করে বাংলাদেশ দূতাবাস। ভিডিওতে ধারণকরা বর্ষবরণের এই মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা নববর্ষে সম্প্রচার করা হয়।

চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, ত্রিপুরা, গারো, ম্রো, মণিপুরী এবং খাসি নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা নিজ সম্প্রদায়ের বর্ণিল পোশাকে তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের তাঁর বক্তব্যে ২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবার পাশাপাশি স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও বাংলাদেশ অর্জন করেছে। বৈশ্বিক মহামারীর পরিস্থিতিতে বিশ্বের মানুষের দুর্দশা ও অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলা নতুন বছর সারা বিশ্বের জন্য আশা ও শান্তির বাণী বয়ে নিয়ে আসবে।

Travelion – Mobile

এর আগে গত ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ হাউসে যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ দূতাবাস বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করে। কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাউস আলপনা, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয় । অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো বাঙালীর গর্ব মঙ্গল শোভাযাত্রা । বর্ণিল পোষাকে রঙ-বেরঙের ব্যানার ও পতাকা নিয়ে শিশু-কিশোররা প্রতীকী এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন । এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!