কোরিয়াপ্রবাসীদের বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রদূতের

বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির বার্ষিকী উদযাপন

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৮ তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।

এ উপলক্ষে রোববার (২৩ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীদের অংশগ্রহণে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে দূতাবাস।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশি আলোচকরা বিশ্বশান্তি, অহিংসা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিষ্ঠা ও নিশ্চিতকরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য অবদানের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা সবার প্রতি বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নেতাদের একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।

“জাতির পিতার শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশ শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি সম্পাদন ও ২০১১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের মডেল উপস্থাপন। এ ছাড়া জাতিসংঘের শান্তি মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী শীর্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তিতে অবদান রেখে চলেছে”, রাষ্ট্রদূত যোগ করেন।

জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।

আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!