কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪৯তম বিজয় দিবস উদযাপন

বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশের ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিসিলা এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে সুরে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন দেশটি নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন ডিফেন্স অ্যাটাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবু নাসের, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, শ্রম কাউন্সেলর আবুল হুসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো. জহিরুল ইসলাম খান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ।

Travelion – Mobile

আলোেচনায় অংশ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বিজয়ী দেশের মুক্ত পরিবেশে মানুষের মেধা আর শ্রমকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিশেষভাবে, গত এগারো বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি বিশ্বময় স্বীকৃত।”

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো ২ লক্ষ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রবাসী বাংলাদেশিরা
বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রবাসী বাংলাদেশিরা

তিনি বলেন,”বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম ত্যাগ ও বীরত্বগাঁথা চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করছে দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীরসন্তানদের। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় অর্জনের ইতিহাস শুধু ১৯৭১ সালে সীমাবদ্ধ নয়। ইস্পাত কঠিন ঐক্যে দৃঢ় জাতির দীর্ঘ সংগ্রাম আর ত্যাগের সুমহান ফসল এ বিজয়।”

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুু আমাদের বিশাল অনুপ্রেরণা, তাঁর অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। তাঁর অনুপ্রেরনাতেই আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিণার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালীর বিজয়ের গৌরবকে ধারন করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় সংকল্পে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ট নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য তিনি আহব্বান জানান। সেই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে নিজেদের উন্নত আচরণ আর কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদেরপ্রতি আহবান জানান।

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কুয়েত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন পর্যায়ের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!