কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কম্পিউটার সহকারী মনির চাকরিচ্যুত

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার সহকারী মোহাম্মদ মনির আহমেদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ৮ নভেম্বর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১ নভেম্বর থেকে কম্পিউটার সহকারী মোহাম্মদ মনির আহমেদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং তার সঙ্গে দূতাবাস সংক্রান্ত কোনো ধরনের কার্যক্রম বা লেনদেন না করতে বলা হয়েছে।

কি কারণে তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি ওই বিজ্ঞপ্তিতে। স্থানীয় বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মনিরের বিরুদ্ধে প্রবাসীরা বিভিন্ন অভিযোগ করে আসছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট, প্রবাসীরা বলেন, নতুন পাসপোর্ট করার জন্য দূতাবাসের ওই কর্মচারীকে তিন গুণ বেশি টাকা দিতে হতো। যেখানে একটি নতুন পাসপোর্ট তৈরিতে নির্ধারিত ফি সাড়ে নয় দিনার, সেখানে মনির জরুরী পাসপোর্ট সেবার নাম করে প্রবাসীদের কাছ থেকে আদায় করতেন ৩৫ থেকে ৪০ দিনার। যদিও বর্তমানে জরুরী পাসপোর্ট সেবা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার সহকারী মোহাম্মদ মনির আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

Travelion – Mobile

প্রসঙ্গতঃ প্রবাসীদের বাংলাদেশিদের নানা সমস্যা ও অভাব-অভিযোগ নিরসনসহ দূতাবাসর প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে নানা ধরনের উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। এ লক্ষ্যে অনলাইনে অভিযোগ দেয়ার ব্যবস্থা ও দূতাবাসে বসানো হয়েছে অভিযোগ বক্স।

নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও তাদের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে অনেক প্রবাসী কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!