কুয়েতে প্রবাসীদের অভিযোগ শুনতে লকডাউন এলাকায় শ্রম দপ্তর
কুয়েতে শ্রমিকদের অভিযোগ শুনতে শ্রম দপ্তরগুলোকে লকডাউন বা আইসোলশন এলাকায় স্থানান্তর করেছে সরকার। এছাড়া শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আগের চাইতে আরো কঠোর অবস্থানে গেছে তারা।
দেশটির সমাজ বিষয়ক এবং অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী মরিয়ম আল-আকেলের নির্দেশক্রমে এখন থেকে লকডাউন এলাকায় স্থানান্তর হওয়া শ্রম দপ্তরগুলোতে গিয়ে কোম্পানির মালিকদের সাথে বিবাদ এবং শ্রম অধিকার সংক্রান্ত যেকোন অভিযোগ দিতে পারবেন শ্রমিকেরা।
কুয়েত সংবাদ সংস্থাকে (কুনা) মন্ত্রী আল-আকেল জানান, কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং ক্যাবিনেট বিষয়ক মন্ত্রী আনাস আল-সালেহর সহযোগিতায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে জিলিব আল-শুয়ুখ এবং ফারবানিয়া লকডাউন এলাকায় শ্রমিকদের জন্য একটি দপ্তর এবং তদন্ত বিভাগের সাধারণ প্রশাসনের একটি দপ্তর স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরব টাইমস সূত্রে জানা গেছে, জনশক্তি দপ্তর প্রবাসী শ্রমিকদের অভিযোগ শুনতে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় আইন অনুযায়ী সেসবের সমাধান করতে আগ্রহী। তাই তাদের কাছে অনেক অভিযোগ জমা হয়েছে যার ফলে মানবপাচার ও আকামা ব্যবসায় জড়িত থাকা অনেক সন্দেহভাজন কোম্পানিগুলোকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আল-আকেল আরো বলেন, আমরা অনেক প্রতিষ্ঠানের বাজেয়াপ্ত করা সম্পদকে নগদে রূপান্তর করেছি এবং সেখান থেকে শ্রমিকদের বকেয় বেতন প্রদান করেছি। তিনি জোর দিয়ে বলেন যেসব কোম্পানি তাদের শ্রমিকদের বেতন প্রদান থেকে বিরত আছে তাদের প্রতি আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতেও সরকার কোন দ্বিধা বোধ করবে না।
মন্ত্রী আল-আকেল বিচ্ছিন্ন এলাকায় জনশক্তি ও পরিদর্শন দলের কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
তিনি উল্লেখ করেন যে এই সমর্থনের ফলে মানব পাচার ও আকামা ব্যবসায় জড়িত অনেক কোম্পানিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্বময় করোনা: কেমন আছেন কানাডার শিক্ষার্থীরা
বিশ্বময় করোনা: কেমন আছেন কানাডার শিক্ষার্থীরা১৩ জুন, শনিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা
Posted by AkashJatra on Saturday, June 13, 2020