কুয়েতে পাপুলকাণ্ডে সম্পৃক্ত প্রভাবশালী নারীর জামিন
বাংলাদেশি সাংসদ শহীদ ইসলাম পাপুলের মানব পাচার ও অর্থ পাচারের মামলায় কুয়েতে জামিন পেয়েছেন এক কুয়েতি নারী।
তিনি দেশটির এক উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বোন, পেশায় ব্যবসায়ী। পাপুলের মানব পাচারে সহায়তার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছিল।
পাবলিক প্রসিকিউশন কুয়েতি ঐই নারীকে ২০০০ কুয়েতি দিনারের বিপরীতে জামিন মঞ্জুর করে। তবে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগের খবর : ২১ দিনের আটকাদেশে কুয়েতের কারাগারে এমপি পাপুল
আরবি দৈনিক আল সিয়াসা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ রয়েছে- ঘুষ এবং অর্থ পাচার। তিনি একটি গৃহসজ্জা কোম্পানির মালিক যার মুলধন হল ২ লাখ ৫০ হাজার দিনার এবং তিনি বেশ কিছু সরকারি কাজ পেয়েছেন যার আর্থিক মূল্য লক্ষ লক্ষ দিনার অতিক্রম ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, পাবলিক প্রসিকিউশন তাকে টানা দেড় ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেছে। এর আগে বাংলাদেশি সাংসদের সাথে যোগসূত্রের জন্য তাকে তলব করা হয়। তার আইনজীবী মোহাম্মদ তালিব সংবাদ মাধ্যমে বলেন যে তার মক্কেল নির্দোষ এবং এই মামলার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। উপরন্তু মিডিয়াতে ঐই নারী সম্পর্কে যেসব প্রতিবেদন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট এসব কিছুর প্রমাণ আদালতে পেশ করা হবে।
আগের খবর : কুয়েতে এমপি পাপুলকাণ্ডের কঠোর পদক্ষেপের দাবি টিআইবির
এদিকে, পাবলিক প্রসিকিউশন এখনো আর্থিক ইউনিটের তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), কুয়েতের দুর্নীতি দমন কমিশন (এসিসি) এবং দেশটির সংসদকে মানব পাচার ও অর্থ পাচার মামলায় শহীদ ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়টি কার্যকরভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। টিআইবি দেশটির সংসদের মর্যাদার প্রতি আস্থা রেখে এ ব্যাপারে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানায়।
আগের খবর : কুয়েতে সাজা হলে এমপি পদ হারাতে পারেন পাপুল
এই দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি বুধবার জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানিয়েছে। টিআইবি এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে শহীদের জড়িত থাকাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের একটি লজ্জাজনক উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সংস্থাটি আরো অভিযোগ করেছে যে প্রথম থেকে কুয়েতের সরকার, সংসদ, এসিসি, আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো পাপুলের এই বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে নেয়নি।