কুয়েতে তারাবির নামাজ ১৫ মিনিট করায় ক্ষোভ
কুয়েতে তারাবির নামাজকে ১৫ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্য ও নাগরিকরা। বুধবার দৈনিক আল-সিয়াসার প্রতিবেদনে এই খবর দেওয়া হয়েছে।
কুয়েতের মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন মঙ্গলবার থেকে মসজিদগুলিতে বর্তমানে চালু থাকা সতর্কতামূলক প্রয়োজনীয়তা মেনে কেবল ১৫ মিনিটের জন্য পুরুষদের জন্য তারাবির নামাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নামাজের পর মসজিদ বন্ধ হয়ে যাবে এবং বক্তৃতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য ফয়েজ আল জামহুর বলেছেন, “১১ রাকাত ১৫ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা আইন, কারণ এবং যুক্তিতে অগ্রহণযোগ্য। এটি তারাবির নামাজের সাথে হস্তক্ষেপের সামিল”।
এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রাক্তন সংসদ সদস্য খালেদ আল-সুলতান পরিষ্কারভাবে জানতে চেয়েছেন, “যিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি কি দেখেছেন কিভাবে নামাজ আদায় করা যায়”।
নাগরিক আহমদ আল-নাফীস বলেন যে, এর অর্থ প্রতিটি রাকাতের সময়কাল এক মিনিটেরও বেশি এবং তিনি আশা করেন মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন।
এক্টিভিস্ট আবদুল-রহমান আল-নাসার বলেছেন, “যদি মন্ত্রণালয় দেখে থাকে নামাজের সময় হ্রাস করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তাহলে রাকাতের সংখ্যা হ্রাস করার কথা ছিল। প্রদত্ত প্রতি রাকাত আমাকে প্রশান্তিতে আদায় করতে হবে, যেহেতু তিন রাকাত দিয়েও তারাবির নামাজের অনুমতি রয়েছে। তবে একই সংখ্যা রাখা এবং সময় হ্রাস করা অযৌক্তিক ও হাস্যকর, যেহেতু এটি আদায়ে সুরা পড়া, রুকু এবং সিজদায় সময় লাগে”।
তিনি এমপি সালেহ দিয়াব আল-মুতাইরির দেওয়া মন্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন,“আমি আপনার সাথে একমত। আমরা আওকাফের মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেছি এবং প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছি”।
একজন টুইটকারী আওকাফ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, “যখন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে সাবধানতা এবং শারীরিক দুরুত্ব বড়ায় রেখে তারাবীহ নামাজ আদায় করা হচ্ছে, তাহলে কেন এটি কেবল ১৫ মিনিট হওয়া উচিত?”