কুয়েতে ঈদের পরেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল!

কুয়েতে ঈদুল ফিতরের পরে ধীরে ধীরে শুরু করা হবে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বিদেশে অবস্থানরত কুয়েতি এবং সকল দেশের প্রবাসীর জন্য আগমনী ও বহির্গামী ফ্লাইটের কার্যক্রম। তবে সবাইকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তারা স্বাস্থ্যের দিকটি সম্পর্কে দায়বদ্ধ এবং প্রয়োগকৃত পদ্ধতিগুলি মেনে চলবেন।

আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুনরায় বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য প্রস্তুতি সেরে রেখেছে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। দেশটির সরকারের নির্দেশ মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে কোন সময়ে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালুর জন্য প্রস্তুত বিমানবন্দরটি।

দেশটির বেসমারিক বিমান পরিবহন কর্র্তপক্ষের সাধারণ প্রশাসনের উপ-পরিচালক সালেহ আল-ফাদাগি এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন,”প্রাথমিকভাবে ৪০ শতাংশ অপারেশনসহ বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে প্রস্তুত কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সরকারের দিক নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছে কর্তৃপক্ষ।”

Travelion – Mobile

আল-ফাদাগি বলেন,”মন্ত্রিপরিষদের দেওয়া যেকোন পরিকল্পনার জন্য সিভিল এভিয়েশন প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে, প্রত্যাবর্তন কিংবা নিয়মিত ফ্লাইটের পুনঃ সূচনা যাই হোক না কেন। আমরা আশা করি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে পারবো।”

“এই মাসের শুরু থেকেই আমরা কুয়েত নাগরিকদের কাছ থেকে প্রচুর অনুরোধ পেয়েছি যারা উপসাগরীয় দেশ, লন্ডন, আমেরিকা এবং কায়রোসহ বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করতে চান। এরমধ্যে প্রায় ৩০০ জন নাগরিক কাতার এয়ারওয়েজে দোহায় ট্রানজিট হয়ে চলে গেছেন তাদের গন্তব্যে”,তিনি যোগ করেন। ।

তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিমানবন্দরগুলি বন্ধ হওয়ার কারণে কুয়েত বিমানবন্দরটি খুব কম পরিমাণে পরিচালিত হয়, তবে বর্তমান সকল শ্রমিকের সাথে সমন্বয় করে আমরা সতর্কভাবে কাজ করছি।”

আল-ফাদাগি জানান, বিমান চলাচল পুনরায় খোলার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আসলে তা আন্তর্জাতিক আইন এবং স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুযায়ী ধীরে ধীরে করা হবে এবং আমরা সেট করা প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি মেনে চলব। সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক-গ্লাভস পরা,বিমানবন্দর ও ডিভাইসগুলিকে সমস্ত ফ্লাইটের সাথে প্রতিদিন ও অবিচ্ছিন্নভাবে জীবাণুমুক্ত করাসহ আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা আইসিএও এবং আইএটিএ কর্তৃক আরোপিত সতর্কতামূলক পর্যবেক্ষণগুলো মেনে চলা হবে।

৩ মাস আগে করোনা সঙ্কট শুরু হওয়ার পরপরই কুয়েতে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে আটকে পড়া কুয়েতিদের দেশে ফিরে আনা এবং সাধারণ ক্ষমার অবৈবধ প্রবাসীদেের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনেকগুলো বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়।

যাত্রীবাহী বিমান বন্ধ থাকলেও কার্গো বিমানের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। প্রতিদিন গড়ে ২০ টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে, যেখানে মেডিকেল ডিভাইস এবং সরঞ্জামাদি, খাবারের জিনিসপত্র এবং মৌলিক পণ্যসম্ভার পরিবহন করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!