কুয়েতে করোনা রোধে দিনে ১১ ঘন্টার কারফিউ

কুয়েতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে জনগণকে ঘরে থাকতে বাধ্য করার লক্ষ্য আজ রোববার (২২ মার্চ) থেকে দিনে ১১ ঘন্টা কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৫ টা থেকে ভোর ৪ টি পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।

দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, সরকার করোনাভাইরাস রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনগণকে ঘরে অবস্থানের নির্দেশনা অনুসরণ না করার কারণে আংশিক কারফিউ চাপিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। জরুরী অবস্থা জারি এর সুষ্ঠু সমাধান নয়, তবে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান।

Travelion – Mobile

প্রবাসীদেরও বড় একটি অংশ স্থানীয় আইন মানছে না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জরুরি অবস্থা জারি করা আইন অমান্যকারী যে কোনও ব্যক্তিকে ৩ বছরের জেল ও দশ হাজার (কুয়েতি দিনার) জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কুয়েতের ফারওয়ানিয়া, সালমিয়া,খাইতান ও জিলিব আল সুয়েখ এলাকায় থাকা প্রবাসীরা অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকছেন না উল্লেখ করে কুয়েত পার্লামেন্টের সাংসদ সাফা আল-হাশেম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রুত সিদ্ধান্ত অত্যাবশ্যক, এ বিভাগের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আল-সালেহ বলেন, সিভিল ডিফেন্স কমিটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের আইডি প্রদান করবে যাতে তারা কারফিউ চলাকালীন চলাফেরা করতে পারে।

এদিকে, কুয়েতের মন্ত্রিসভা সকল মন্ত্রনালয় এবং সংস্থাগুলির কাজ স্থগিত বা ছুটি আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শনিবার সরকারী মুখপাত্র তারেক আল-মেজরেম জানিয়েছেন।

সিদ্ধান্তের অর্থ হ’ল ১২ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকা সমস্ত বেসামরিক কর্মচারীরা ১২ই এপ্রিল পুনরায় কাজ শুরু করবেন, মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ বৈঠকের পর মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন।

এই পদক্ষেপটি মূলত দেশে নভেল করোনাভাইরাসকে ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতেই জোর দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এছাড়াও, মন্ত্রিসভা খাদ্যসামগ্রী বাদে সমস্ত দোকান এবং কেন্দ্রীয় বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!