কাতার এয়ারওয়েজে যাওয়া ১২৫ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিলো ইতালি
ইতালির রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে পৌঁছানো কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটের ১২৫ বাংলাদেশি যাত্রীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বুধবার তাদের আটকে দেওয়ার পর ওই বিমানে করেই তাদের আবারও দোহায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে বিমানে থাকা অন্য যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার পর ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে অন্য একটি ফ্লাইটের দুই ডজনের বেশি বাংলাদেশি আরোহীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় ইতালি।
বুধবার ইতালির স্থানীয় গণমাধ্যম আইএল মেসেজারোর প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কাতার এয়ারওয়েজের ওই বিমানের ১২৫ বাংলাদেশি আরোহী ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি বিমানবন্দরে বিমানের ভেতর থেকেও তারা নামতে পারবেন না। তবে জরুরি মেডিকেল সেবার দরকার হলে বিমান থেকে নামার অনুমতি পাবেন তারা।
কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাইটটিতে ঢাকা ১৫১ যাত্রী নিয়ে প্রথমে দোহায় যায়। সেখান থেকে কানেকটিং ফ্লাইটে রোমে যায় ১৪৫ বাংলাদেশি। যেহেতু ঢাকা থেকে সরাসরি রোমে যায়নি, সে কারণে বাংলাদেশি যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে দেয়া উচিত ছিল। কাতার এয়ারওয়েজ ইতালির সরকার এবং ইন্যাকের বিমান পরিবহন সংক্রান্ত সব ধরনের বিধি-বিধান সতর্কতার সঙ্গে অনুসরণ করেই ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
আরও পড়তে পারেন : প্রবাসে কর্মহীন বাংলাদেশিদের জন্য কূটনৈতিক চেষ্টা চলছে : প্রধানমন্ত্রী
কাতার এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটেই বাংলাদেশি যাত্রীদের রোমের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় দোহায় ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিমানটিতে থাকা অন্যান্য দেশের ৮০ যাত্রীর নামার অনুমতি মিলেছে। বিমানবন্দরে তাদের করোনার নমুনা পরীক্ষা শেষে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এসব ফ্লাইট যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। সর্বশেষ ৬ জুলাই বাংলাদেশ থেকে রোমে যাওয়া একটি ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ইতালি।
ফ্লাইটটি ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমান থেকে প্রত্যেকেই নামতে পারবেন না বলে পাইলট ঘোষণা দেয়ার পর সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ ঘোষণার পর বাংলাদেশি যাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন। একজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ইতালির লাজিও অঞ্চলের কোভিড-১৯ ক্রাইসিস ইউনিটের ব্যবস্থাপক আলেসিও ডি’আমাতো বলেন, ফিউমিসিনোতে অবতরণকারী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটির প্রথম ৩০ যাত্রীর সোয়াব ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। বাকিদের নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। বিমানটির অন্য প্রায় একশ যাত্রীকে নামার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের সম্ভাব্য কন্ট্যাক্ট চিহ্নিত করে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আগের খবর : পাপুল কুয়েতের নাগরিক হলে তাঁর আসন শূন্য হবে: প্রধানমন্ত্রী
ওই ফ্লাইটটির যাত্রী ইতালিপ্রবাসী বাংলাদেশি একজন নারী অসুস্থতা বোধ করায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ যাত্রার কারণে অসুস্থ বোধ করছেন, যা কোভিড-১৯ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে জানিয়ে দেয়।
ওই ফ্লাইটটি থাইল্যান্ড থেকে দোহা হয়ে ইতালি পৌঁছানো একজন ইতালিয় যাত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশি যাত্রীদের সঙ্গে কেন ভ্রমণ করছেন; সেটি পরিষ্কার নয়। আমরা উদ্বিগ্ন।”
পাকিস্তানি নাগরিক আকাফিম বলেন, ইসলামাবাদ ত্যাগ করার সময় কেউই তার শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখেননি। শুধু ইতালিতেই তার তাপমাত্রা মাপা হয়েছে।
পর্তুগাল ইমিগ্রেশন আলাপনঅতিথি মঈন উদ্দিন আহমেদ , সহকারি কর্মকর্তা, পর্তুগাল ইমিগ্রেশন হাইকমিশনঅংশগ্রহণরনি মোহাম্মদ, গণমাধ্যমকর্মী, পর্তুগালনাঈম হাসান, গণমাধ্যমকর্মী, পর্তুগালসঞ্চালনায় : আহমেদ তোফায়েল, সাংবাদিক ও উপস্থাপক৫ জুলাই, রবিবার – পর্তুগাল : বিকেল ৫ টা ইউরোপ : সন্ধ্যা ৬ টা, বাংলাদেশ : রাত ১০ টা
Posted by AkashJatra on Sunday, July 5, 2020