কাতার এয়ারওয়েজের টিকিটের মেয়াদ থাকবে দুই বছর

করোনাভাইরাস সংকটে যাত্রীসেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাতার এয়ারওয়েজ তাদের টিকিটের মেয়াদ বাড়িয়ে দুই বছর পর্যন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। তাই শুধু নয়, যে কোন যাত্রী যতবার ইচ্ছে যাত্রার তারিখ বিনা মাশুলে (চার্জ) বদলাতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়ে কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ আশা করছে এই সিদ্ধান্তের ফলে যাত্রীরা তাদের পরিস্থিতি বিবেচনায় সুবিধামত সময়ে যাত্রা করার সুযোগ যেমন পাবে তেমনি এটি তাদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার করবে।

কাতার এয়ারওয়েজের ওয়েবসাইটে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা সামনের দিনগুলোতে যাত্রীদের জন্য ভ্রমণের সুযোগ আরো বাড়াতে আমাদের টিকেট বুকিংয়ে আরো নমনীয়তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের উপর তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং তারা যখন যাত্রার জন্য প্রস্তুত হবেন তখনই পরিকল্পনা করতে পারবেন। ”

Travelion – Mobile

ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কেউ যদি ইতিমধ্যে টিকেট বুক করে ফেলে বা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বুক করবে তারা টিকেটের এই সুবিধা পাবেন। তাই আপনার টিকেট বুক করে রাখুন এবং এটি আগামী দুই বছরের মধ্যে ব্যবহার করুন আপনার সুবিধামত সময়ে। এক্ষেত্রে যে কোন যাত্রী যতবার ইচ্ছে যাত্রার তারিখ বিনা মাশুলে (চার্জ) বদলাতে পারবেন।

যারা টিকেটের মেয়াদ বাড়াতে চান তারা কাতার এয়ারওয়েজের অফিসে বা যোগাযোগ কেন্দ্রে ফোন করে তা করতে পারেন।

ওয়েবসাইটে বলা হয় “আপনি আপনার যাতায়াতের তারিখ বা গন্তব্য বিনা মাশুলে পরিবর্তন করতে পারবেন, যতবার আপনার প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে নিয়ম হবে আপনার মূল গন্তব্য একই দেশের ভেতর বা ৫০০০ মাইল রেডিয়াসের মধ্যে অন্য কোন স্থানে (যেখানে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালু আছে) পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন।

যাত্রীরা যখন ভ্রমণের সময় মনস্থির করবেন তখন কিউমাইলসের (Qmiles) মাধ্যমে তাদের টিকেটে রিওয়ার্ড ফ্লাইট, অতিরিক্ত ব্যাগেজ বা কেবিন আপগ্রেডেশনের মত সুবিধা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। প্রতি ১ ডলারের জন্য যাত্রীরা ১০০ কিউমাইলস পাবেন যেগুলোর মেয়াদ থাকবে কমপক্ষে তিন বছর। তাই তারা কিউমাইলের সুবিধা অনুযায়ী নির্ধারণ করতে পারবেন কিভাবে, কখন এবং কাদের জন্য টিকেট বুক করবেন।

কাতার এয়ারওয়েজের নতুন এই উদ্যোগ এমন সময়ে নেয়া হয়েছে যখন বিমানসংস্থাটি সম্প্রতি ধীরে ধীরে তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সপ্তাহে বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, যাত্রী চাহিদার প্রেক্ষিতে তাল মিলিয়ে তারা তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করতে চায়।

বিমান সংস্থাটির লক্ষ্য জুনের শেষ নাগাদ ইউরোপের ২৩টি, আমেরিকার চারটি, মধ্যপ্রাচ্য/আফ্রিকায় ২০টি এবং এশিয়া-প্যাসিফিকের ৩৩টি সহ মোট ৮০ টি গন্তব্যে ফ্লাইট চালু করবে। এরমধ্যে অনেক শহরেই দৈনিক ভিত্তিতে নিয়মিত পরিসরে ফ্লাইট পুরোদমে চালু করা হবে বলে জানায় সংস্থাটি।

কার্যক্রমে এই সম্প্রসারণ প্রাথমিক ভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে কাতার এয়ারের কেন্দ্র দোহায়। পাশপাশি বৈশ্বিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে লন্ডন, শিকাগো, ডালাস এবং হংকংসহ সারা বিশ্বে তাদের সহযোগী এয়ারলাইন্সের কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া মাদ্রিদ ও মুম্বাইয়ের মতো অনেক বড় ধরনের ব্যবসা ও অবসর কেন্দ্রে কার্যক্রমও খুলে দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!