কাতারে বন্ধুর ফ্রিজ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার

কাতারে নিখোঁজের ৭ দিন পর স্বদেশী বন্ধুর ফ্রিজ থেকে আব্দুল মতিন (৪৫) নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসীর ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ।

আব্দুল মতিন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার হরিপুর গ্রামের মরহুম আতাউর রহমানের ছেলে। প্রায় ২০ বছর ধরে কাতারের সানাইয়া এলাকায় তিনি গ্যারেজ ব্যবসা করছিলেন। গত বছরের আগস্টে শেষবার দেশে ঘুরে যান তিনি।

নিহতের কাতারপ্রবাসী তার বড় ভাই আতিকুর রহমান জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন মতিন। ঐ দিন সকালে তার এক ঘনিষ্ট বন্ধু আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি ইব্রাহিম ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। আব্দুল মতিনকে। এরপর থেকে তার আর খোজঁ পাওয়া যায়নি।

Travelion – Mobile

রাজধানী দোহাসহ কাতারে সম্ভাব্য সব জায়গায় অনেক খুঁজেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এমন কি তার বন্ধুও লাপাত্তা হয়ে যায়।

উপায় না দেখে আতিকুর রহমানের সন্ধানে কাতার পুলিশের শরণাপন্ন হন বড় ভাই আতিকুর রহমান ও ভাতিজা জাকির হোসেন।

অভিযোগ পেয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে আবু হামুর এলাকায় বন্ধু ইব্রাহিমের তালাবদ্ধ রুমে অভিযান চালায় কাতার পুলিশ। তল্লাশী করে রুমের ফ্রিজের ভেতর থেকে নিখোঁজ আব্দুল মতিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের পর আশপাশে নানা জায়গায় ইব্রাহিমের সন্ধান তল্লাশী চালায় পুলিশ। তবে তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি।

আব্দুল মতিনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় আহমদ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত এবং ঘাতক ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের জোর অভিযানে নেমেছে কাতার পুলিশ।

ইব্রাহিম চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার গচুয়া গ্রামের মরহুম সৈয়দ আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে আব্দুল মতিনকে খুন করে ফ্রিজে রেখে ইব্রাহিম পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।

৩ কন্যা সন্তানের জনক নিহত আব্দুল মতিনের বড়লেখার গ্রামের বাড়িতে এখন শোকের মাতম। প্রিয়জনের এমন মর্মান্তিক বিদায় মেনে নিতে পারছেন না স্বজনদের কেউ। বাকরুদ্ধ তার স্ত্রী, কন্যাসহ স্বজনরা ।

আব্দুল মতিনের মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং ঘাতক ইব্রাহিমকে দ্রুত গ্রেপ্তারে করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিবার।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!