কাতারে ন্যূনতম মাসিক মজুরি ২৩ হাজার টাকা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ন্যূনতম মজুরি আইন কার্যকর হয়েছে। নতুন এই আইনের আওতায় দেশটিতে কর্মরত শ্রমিকেরা মাসে ন্যূনতম এক হাজার কাতারি রিয়েল (২৭৫ মার্কিন ডলার) পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩ হাজার টাকা।

গত শনিবার কার্যকর করা এই আইনে কাতারে কর্মরত যেকোনো দেশের যেকোনো খাতের শ্রমিকের ক্ষেত্রে এ মজুরি প্রযোজ্য হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কাতার প্রথম আইন পরিবর্তন করে ন্যূনতম মজুরি বেঁধে দিল।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলছে, মজুরি আইন কার্যকর হওয়ায় কাতারের বেসরকারি খাতে কর্মরত ২০ শতাংশ শ্রমিক সরাসরি উপকৃত হবেন। সংখ্যার হিসাবে তা ৪ লাখের বেশি। এর মধ্যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে।

Travelion – Mobile

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রমিকেরা প্রতি মাসে ন্যূনতম এক হাজার কাতারি রিয়েল বা ২৭৫ মার্কিন ডলার মজুরি পাবেন। একই সঙ্গে মজুরির বাইরে প্রতি মাসে শ্রমিকেরা খাবার খরচ বাবদ ৩০০ রিয়েল ও আবাসন ব্যয় হিসেবে আরও ৫০০ রিয়েল পাবেন। তবে যেসব শ্রমিক মালিকপক্ষের কাছ থেকে খাবার ও আবাসন সুবিধা পান, তাঁরা প্রতি মাসে অতিরিক্ত এই ৮০০ রিয়েল পাবেন না।

কাতার সরকারের যোগাযোগ দপ্তর আল–জাজিরাকে জানায়, দেশটিতে এরই মধ্যে ৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান সংশোধিত আইনের আওতায় তাদের মজুরি ব্যবস্থা বদলে ফেলেছে।

এর আগে কাতার সরকার আলোচিত-সমালোচিত কাফালা পদ্ধতি বাতিল করে। শ্রম আইনের এই বিশেষ বিধান বাতিলের পর দেশটিতে এখন বিদেশি শ্রমিকদের চাকরিযদিও আল–জাজিরার সঙ্গে আলাপকালে অনেক শ্রমিক এখনো বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। কাতার সরকারের একজন মুখপাত্র আল–জাজিরাকে জানিয়েছেন, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কাফালা পদ্ধতি বাতিলের সুবিধা নিয়ে ৭৮ হাজারের বেশি শ্রমিক নিজেদের চাকরি বদল করেছেন।

বিশ্বকাপ সামনে রেখে কাতারের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে অভিবাসী শ্রমিকের চাহিদা ও সংখ্যা—দুটিই চাঙা হয়ে উঠেছে। দেশটিতে ২০ লাখের বেশি অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!