কাতারে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন সড়ক দুঘর্টনায় আহত বাংলাদেশি

সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া কাতারপ্রবাসী এক বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধা চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার রিয়াল ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ির মালিক থেকে আদায় করা হয়েছে এই ক্ষতিপূরণ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাতারের সীমান্তবর্তী এলাকা আলখোরে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনায় লক্ষীপুরের মনির হোসেন নামে এই প্রবাসী বাংলাদেশি দুই পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে। সে সময় তার জীবন বাঁচাতে রাজধানী দোহা থেকে হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছিল।

পরবর্তী আহত মনির হোসেনের বাংলাদেশি স্পনসর লাইফ ভিশন ট্রেনিং এন্ড কন্টাক্টিং কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ দুর্ঘটনার গাড়ির মালিক পক্ষের সাথে কোন মামলা ছাড়াই আলোচনা করে এই ক্ষতিপূরণের আদায়ের ব্যবস্থা করেন।

Travelion – Mobile

২২ জুন (সোমবার) আলখোরে লাইফ ভিশন ট্রেডিং এন্ড কন্টাক্টিং কোম্পানির অফিসে মনির হোসেনের কাছে ক্ষতিপূরণের অর্থ আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর ড. মুস্তাফিজুর রহমান তুলে দেন। এ সময় লাইফ ভিশন ট্রেডিং এন্ড কন্টাক্টিং কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, আমার কোম্পানিতে ৫০০ কর্মী কর্মরত আছেন। তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে আমি বদ্ধপরিকর। মনির হোসেনের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছে যার ফলে বাংলাদেশের টাকায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিতে পেরেছি।”

শ্রম কাউন্সেলর ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মালিকপক্ষের প্রচেষ্টার কারণে ভালো একটি ক্ষতিপূরণ পেতে সক্ষম হয়েছে ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশি। কর্মীদের কল্যাণে প্রতিটি কোম্পানির মালিকপক্ষকে যদি এভাবে এগিয়ে তবে প্রবাসী কর্মীদের মনোবল আরও বাড়বে নিঃসন্দেহে।”

তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মনির হোসেনকে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এককালীন নগদ অর্থ প্রদান করার আশ্বাস দেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কাতারে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী ডিবিসি নিউজ ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাতার প্রতিনিধি আমিন ব্যাপারী, বাংলা টিভির কাতার প্রতিনিধি আকবর হোসেন বাচ্চু,জি টিভির কাতার প্রতিনিধি এম,এ সালাম,সময় টিভির কাতার প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন মামুন,মোহাম্মদ সবুজসহ স্থানীয় কিমউনিটি নেতারা।

ক্ষতিপূরণ পেয়ে আবেগ আপ্লুত মনির হোসেন কোম্পানির মালিক, কাতার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহতায়লার রহমতে আর সবার সহযোগিতার কারণে বেঁচে আছি। তাই আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো সবার কাছে।”

কোম্পানির মালিক হারুনুর রশীদকে এমন সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মনিরের পাশে দাঁড়ানো জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিটি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!