কাতারে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে দূতাবাসের উদ্যােগ

করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে পারস্য উপসাগরীয় দেশ কাতারে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ লক্ষ্যে কোন বিমানসংস্থা এখনও নির্ধারণ করা না হলেও ভাড়া (ওয়ানওয়ে) জনপ্রতি ১৫০০ হতে ১৬০০ কাতারি রিয়াল ধার্য করা হয়েছে ।

বুধবার (৩ জুন) কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে এই ঘোষলা দিয়ে আগ্রহী বাংলাদেশিদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই ব্যবস্থা শুধু বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, দেশে ফিরে যেতে আগ্রহীদের অনলাইনে এই লিংকে https://bdembassydoha.org/repat.html?fbclid=IwAR3QSj95zI2JXAJ1lpriJ7Vj8kEhm0MVdsZs5uSLNq1rpHdZHf-Ob9n0VWA গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজ্য। যারা এর আগে দূতাবাসের কাছে নানা মাধ্যমে দেশে ফিরে যাবার জন্য যোগাযোগ ও আবেদন করেছেন তাদেরকেও এ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

Travelion – Mobile

আরও বলা হয়েছে, কাতার আইডির মেয়াদ না থাকলে আবশ্যিকভাবে সিইআইডি হতে ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহ সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। বিশেষ ফ্লাইটের জন্য এয়ারলাইন্স কর্তৃক নির্ধরিতি ভাড়া আবেদনকারী অথবা তার কোম্পানিকে বহন করতে হবে। বিশেষ ফ্লাইট সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্নের জন্য [email protected] ইমেইল করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন করার আগে শতার্দি ভালোভাবে পড়ার জন্য দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার নিয়মে বলা হয়, আবেদনকারী যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নাম্বার,পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, কাতার আইডি অথবা ভিসা নাম্বার, কাতার আইডি অথবা ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল,বাংলাদেশে ফিরে যাবার কারণসহ সকল তথ্য অনলাইন ফরমের খালি ঘরগুলোতে সঠিকভাবে পুরন করতে হবে।

তাছাড়া রেজিস্ট্রশন ফরমে পুরণে যাত্রীকে টিক চিহ্ন দিয়ে কয়েকটি অঙ্গীকারে সম্মতি দিতে হবে । যেখানে বলা আছে;
আমি প্রত্যায়ন করছি যে, বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য আমার কাছে বৈধ কাগজ পত্র (পাসপোর্ট বা টিপি) আছে এবং কাতারের আইন ভঙ্গ হয় এমন কোন চলমান কেইস আমার বিরুদ্ধে নেই।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন এয়ারলাইন্স এ আমি বিশেষ ফ্লাইটে যেতে সম্মত আছি এবং সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া (দোহা হতে ঢাকা যাত্রার জন্য ১৫০০ হতে ১৬০০ কাতারি রিয়াল) সরাসরি এয়ারলাইন্সকে পরিশোধ করতে আমি (অথবা আমার কোম্পানি) সম্মত আছি।)

আইনসঙ্গত কারণে কাতারের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে কাতার হতে বের হতে অনুমতি না দিলে বাংলাদেশ দূতাবাস অথবা বা সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স দায়ী থাকবে না।)

ফ্লাইট ছাড়ার ৭২ ঘন্টা বা তা কম সময়ের মধ্যে ইস্যু করা করোনাভাইরাস ফ্রি সনদ অথবা করোনাভাইরাস উপসর্গ ফ্রি সনদ সংগ্রহ করবো। অন্যাথায়, ঢাকায় অবতরনের পর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত কোয়ারিন্টিন সেন্টারে ১৪ থাকা অথবা কর্তৃপক্ষের যে কোন সিদ্ধান্ত মানতে রাজি আছি।

ভ্রমনকালীন সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃক নির্ধারিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবো।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!