কাতারের হামাদ বিমানবন্দর বিশ্বে তৃতীয়, মধ্যপ্রাচ্যে সেরা
কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের ৫৫০টি বিমানবন্দরের মধ্যে তৃতীয় সেরা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
বিশ্বের খ্যাতনামা এভিয়েশন রেটিং প্রতিষ্ঠান স্কাইট্রাক্সের ‘ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডস ২০২০’ এ এই স্বীকৃতি পায় বিশ্বের প্রথম সারির এই বিমানবন্দরটি। একই তালিকায় এটি মধ্যপ্রাচ্যের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব পেয়েছে। গেল বছর এ তালিকায় তারা চতুর্থ স্থানে থাকলেও এবার বছরের কার্যক্রমের ভিত্তিতে তৃতীয় স্থানে উঠে আসে।
২০২০ সালের এই এ্যাওয়ার্ডে বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর হিসেবে সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দরের নাম ঘোষণা করা হয়। আর টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরকে ঘোষণা করা হয় ২য় সেরা বিমানবন্দর হিসেবে।
বিমানবন্দরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টানা ছয় বছর ধরে এটি মধ্যপ্রাচ্যের সেরা বিমানবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে পাশপাশি টানা পাঁচ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে সেরা স্টাফ সেবা দেয়ার স্বীকৃতিও পেয়েছে হামাদ বিমানবন্দর। ২০১৭ সাল থেকে বিমানবন্দরটি বিশ্বের পাঁচতারা বিমানবন্দরের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
এবার গ্লোবাল রেটিংয়ে সামগ্রিকভাবে তৃতীয় অবস্থানে থাকার পাশাপাশি হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতেও বেশ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। যেমন বিমানবন্দরটি ট্রানজিট হাব হিসেবে বিশ্বে তৃতীয়, ইমিগ্রেশন প্রসেসিংয়ে দশম, ব্যাগেজ ডেলিভারিতে দশম, টার্মিনাল পরিচ্ছন্নতা পঞ্চম, এবং অবকাশ সুযোগ-সুবিধায় সপ্তম হয়েছে। এই বিমানবন্দরটি বছরে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন যাত্রীদের সেবা দিয়ে থাকে।
স্কাইট্রাক্সের প্রধান নির্বাহী এডওয়ার্ড প্লাইসটেড বলেন “হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের একটি নেতৃস্থানীয় বিমানবন্দর হিসাবে জায়গা করে নিচ্ছে ধীরে ধীরে। যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া এই স্বীকৃতি বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের জন্য আসলেই অনেক চমৎকার অর্জন।
হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা বদর মোহাম্মাদ আল মির বলেন “প্রতি বছর আমরা যে এভাবে এগিয়ে যাচ্ছি তা বিশেষ করে আমাদের প্রতি যাত্রীদের ভালবাসার প্রতিফলন। এই সম্মান আমরা পাচ্ছি কারণ আমাদের যাত্রীরা স্কাইট্রাক্স জরিপে হামাদ বিমানবন্দর নিয়ে তাদের অনন্য অভিজ্ঞতা ও সেবা লাভের সন্তুষ্টি শেয়ার করেছে। বর্তমানে এই খাত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও, যাত্রীদের নিরাপদে নিজ নিজ দেশে পৌঁছে দিতে সহযোগি হিসেবে ভূমিকা রাখতে আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বিমানবন্দরের কর্মকর্তা আল মিরের মতে, এই সাফল্য সূচিত হয়েছে মূলত বিমানবন্দরের কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় প্রত্যয়ের ফলে।
তিনি জানান, হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মীদের দক্ষ করতে ও স্থানীয় মেধাবী তৈরিতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। এছাড়াও স্মার্ট বিমানবন্দর হিসেবে সেবার মান বাড়াতে কাটিং এজ স্মার্ট টেকনোলজিস, অটোমেশন ও সেলফ-সার্ভিসেও প্রচুর বিনিয়োগ করছে। এছাড়াও এ বছরের শুরুতে বিমানবন্দরটির সম্প্রসারণ প্রকল্পের সূচনা করা হয়। প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সাল থেকে এইখানে ৫৩ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিমানবন্দরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করে বছরে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা হবে ৬০ লাখ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিমানবন্দরটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের কার্গো কার্যক্রম ৪.৭ শতাংশ বাড়ার ঘোষণা দেয়। কাতার এয়ারওয়েজ এর সহযোগী হিসেবে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে নিয়োজিত থাকায় তাদের কার্গো কার্যক্রম বেড়েছে বলে জানায় গাল্ফ নিউজ।
আগের খবর :
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি অষ্টমবারের মতো বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত