করোনাভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কার, সাফল্য পেল থাইল্যান্ড!
করোনাভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্ব যখন আতঙ্কিত। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। তখন সুখবরটা দিয়ে রীতিমত হইচই ফেলে দিলেন থাইল্যান্ডের একদল চিকিৎসক। ফ্লু এবং এইডস (HIV)-র চিকিৎসার ওষুধের সংমিশ্রণে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন তাঁরা। গুরুতরভাবে অসুস্থদের মধ্যে এই এই পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগে প্রাথমিকভাবে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে বলেও দাবি তাদের।
রবিবার (২ফেব্রুয়ারি) করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নয়া পদ্ধতির কথা ঘোষণা করেছেন রাজধানী ব্যাংককের রাজাভিথি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এইডস (HIV)-র চিকিৎসায় লোপিনাভির এবং রিটোনাভির ওষুধ ব্যবহার করা হয়। আর ফ্লুর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ওসেলটামিভির। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বেশি পরিমাণে ওসেলটামিভিরের সঙ্গে লোপিনাভির এবং রিটোনাভির রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর এতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে চিকিৎসকদের দাবি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস চিকিত্সায় সংমিশ্রন ওষুধ প্রয়োগ পদ্ধতি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা বেশ কয়েকজন রোগীর অবস্থার উন্নতি করেছে, যার মধ্যে উহান থেকে বেড়াতে আসা ৭১ বছর বয়সী একজন চীনা মহিলা রয়েছেন, যিনি করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০ ধরে চিকিৎসাধীন।
রাজাভিথি হাসপাতালের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক ডা. ক্রিয়াংসক আতিপর্নোনিচ এবং ডা. সাবসাই কোংসংডাও-ব্যাংককে এক ব্রিফিংয়ে বলেন যে, দুই গ্রুপের ওষুধ সংমিশ্রন দেওয়ার ৪৮ ঘন্টা পরে ঔ বৃদ্ধা মহিলার উন্নতি দেখা গেছে ।
চীনা বৃদ্ধা মহিলাকে প্রথমে হুয়া হিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং পরে ২৯ শে জানুয়ারি তাকে রাজাভিথি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বৃদ্ধার মধ্যে করোনাভাইরাসের গুরুতর লক্ষণ তা খুঁজে পাওয়ার পরে, চিকিত্সকরা মধ্যপ্রাচ্যের শ্বাসযন্ত্রের সিন্ড্রোম করোনাভাইরাস (এমআরএস) এর চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টি-ফ্লু ঔষধ ওসেল্টামিভির এবং পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধক ওষধ লোপিনাভির এবং রিটোনাভি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ডা. ক্রিয়াংসক বলেন, ‘চীনারা ইতিমধ্যে করোনভাইরাস রোগীদের জন্য এইডসের ওষুধ ব্যবহার শুরু করেছে। আমরা সম্পর্কিত তথ্য পরীক্ষা করে দেখেছি যে অ্যান্টি-ফ্লু ওষুধগুলি এমআরএসে কার্যকর ছিল। তাই আমরা ওষুধের উভয় গ্রুপকে একত্রিত করেছি।’
“১০ দিন ধরে ল্যাব পরীক্ষার পরে, ওষুধ দেওয়ার ৪৮ ঘন্টা পরে অবশেষে পরীক্ষাটি ইতিবাচক হয়ে ওঠে। চিকিত্সার, পাশাপাশি দ্রুত আরোগ্য,” তিনি বলেছিলেন।
ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ক্রিয়াংসকা অতিপোরওয়ানিচ বলেন,’এই ওষুধের প্রয়োগে রোগ সম্পূর্ণ সেরে যাচ্ছে, এমন নয়। তবে রোগীদের অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটছে। আর একটা একটা বড় সাফল্য।’
তারা উল্লেখ করেছেন, এই আবিষ্কারের কথা তারা মেডিকেল জার্নালে জানাবেন এবং অন্য রোগীদের উপর ওষুধ ব্যবহার করবেন।