করোনার ৪ দেশ ঘুরে আসা প্রবাসীদের ওমানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
শনাক্ত মোট রোগী ১৬
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনাভাইরাস বেশি প্রাদূর্ভাবের ৪ টি দেশে ঘুরে আসা প্রবাসীদের ওমানে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এবং ইতালি।
এ দিকে বৃস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সবশেষ তথ্য অনুযাযী, ওমানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ তে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওমানে ফিরে আসার আগে ১৪ দিন ধরে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এবং ইতালি ভ্রমণ করেছেন এমন সকল প্রবাসী নাগরিক এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
জাতীয়তা ও ভিসার ধরণ নির্বিশেষে এই ৪ টি দেশে ভ্রমণকারীদের ওমানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না । তবে এইসব দেশের নাগরিক যারা এই জায়গাগুলি কোনওটিতে যাননি তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
পরিস্থিতি পরিপ্রেক্ষিতের প্রাদূর্ভাবের অন্যান্য দেশও এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে।
ওমানে এ পর্যন্ত করেনা আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে ১৫ জন্য সাম্প্রতিক ইরান এবং ১ ইতালি ভ্রমণ শেষে ওমান ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার পাওয়া সবশেষ রোগী ইতালির মিলান থেকে দেশে ফিরেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে বদেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
করোনভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাবকে মোকাবেলা করতে সরকার যে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আহমেদ বিন মোহাম্মদ বিন আল সাইদী রয়্যাল ডিক্রি বলে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত জারি করেছেন।
জনস্বার্থে নেওয়া এইসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে; জরুরী প্রয়োজন ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত ছুটি পাবেন না । বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয় এমন কোনও পণ্য বিপণন করা যাবে না এবং মেডিকেল পণ্যের দাম বাড়ানো যাবে না।
যে সব ব্যক্তি বাসা কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে আছেন তাদেরকে প্রদত্ত সমস্ত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং জনসমাবেশ এবং মসজিদসহ উপাসনার স্থানগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
বিশেষজ্ঞগণকে এসব বিধি-বিধানগুলি অনুসরণ করতে হবে এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কেউ এই সিদ্ধান্তের বিধান লঙ্ঘন করে তবে দণ্ডবিধি বা অন্য কোনও আইনে কঠোর শাস্তির জন্য আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে ।