কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক সমাগম নিষিদ্ধ

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সৈকত ভ্রমণে আসতে নিরুৎসাহিত করতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটক ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে টুরিস্ট পুলিশ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে হোটেল-মোটেল খালি করা বা পর্যটক নিষিদ্ধ করার কোন সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি, পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি নির্দেশনায় তা করা হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।

আজ বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত সৈকতে নেমে পর্যটকদের হোটেলকক্ষে ফিরিয়ে নিয়েছেন।

Travelion – Mobile

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আজ বুধবার বিকেল থেকে সমুদ্রসৈকতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নামানো হয়েছে। আর পর্যটকদের ভ্রমণে আসতে নিরুৎসাহিত করতে স্থানীয় হোটেলের মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

টুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি মাে. মুসলিম আকাশযাত্রাকে জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নিষেধাজ্ঞা জারির পর সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সমাগম-জমায়েত এবং কোনো ধরনের কর্মসূচি পালনে নিষেধ করে প্রচারণা চালাচ্ছে টুরিস্ট পুলিশ।

হোটেলের মালিকদের তথ্য, করোনা আতংকে গত কিছুদিন পর্যটক কমে গেলেও এই মুহুর্তে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন প্রায় তিন হাজার পর্যটক। এর মধ্যে এক হাজার গেছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!