ওমিক্রন রোধে বিশ্বব্যাপী ফ্লাইট বন্ধের পরিকল্পনা

পশ্চিমে কানাডা থেকে পূর্বে অস্ট্রেলিয়ায় শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তে ওমিক্রন। তাই, বিশ্বব্যাপী ফ্লাইট বন্ধের পরিকল্পনা আবারও আলোচনায় এসেছে।

করোনা মহামারির কারণে প্রায় ২ বছর ধরে বিশ্ব-বাণিজ্যে স্থবিরভাব বিরাজ করছে। এটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় যখন দেশগুলো ধীরে ধীরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে, ঠিক তখনই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে নতুন সংকট।

সোমবার এ তথ্য জানিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের সংবাদে বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে নতুন শঙ্কা। আন্তর্জাতিক বাজারেও এর প্রভাব পড়ে।

Travelion – Mobile

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ওমিক্রনের তীব্রতার মাত্রা সম্পর্কে তথ্যের ঘাটতি থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও ‘বেশ কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ’ লেগে যেতে পারে।

আজ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, দক্ষ শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্যে তার দেশের দরজা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে খুলে দেওয়ার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা পুনর্বিবেচনা করা হবে।

‘ওমিক্রন’ উদ্বেগে বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা
‘ওমিক্রন’ উদ্বেগে বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা

সংবাদমাধ্যম নাইন নিউজকে তিনি বলেন, সবাইকে শান্ত থেকে ওমিক্রন সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি জানান, সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে আগামী বুধবার অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা প্যানেলের বৈঠক হবে।

এ ছাড়াও, জি৭ এর স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ধারণা করা হচ্ছে—অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনকে বেশি সংক্রামক হতে পারে। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি, নেদারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।

নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে যারা আসছেন তাদের প্রবেশ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া ও ইউরোপের বেশ কয়কটি দেশ।

অকল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিউজিল্যান্ড । ছবি সংগৃহীত।
অকল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিউজিল্যান্ড । ছবি সংগৃহীত।

দক্ষিণ আফ্রিকা এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্যায্য’ বলে নিন্দা করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা গতকাল বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে ‘বিশৃঙ্খল’ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের বার্তায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে তথ্য দেবেন এবং এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের করণীয় তুলে ধরবেন।

এতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে ২ সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।

তার মতে, করোনার টিকা যেকোনো ভ্যারিয়েন্ট থেকে ‘নির্দিষ্ট মাত্রায়’ সুরক্ষা দিতে পারে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!