ওমান উপকুলে উদ্ধার, আমিরাতে বন্যায় ভেসে যাওয়া বাংলাদেশির মরদেহ
ওমান সাগর উপকুল থেকে উদ্ধার হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ইদ্রিছ (৪০)-এর মরদেহ ।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের আফজলের পাড়ার আহমদ জলিলের একমাত্র ছেলে মো. ইদ্রিছ (৪০) এক বছর আগে গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।। দেশে তার স্ত্রী ও দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
শনিবারও (১১ জানুয়ারি) রাস-আল-খাইমা রাজ্যের ওয়াদি শামস এলাকায় গাড়ি চালিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় দুঘর্টনার শিকার হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। ওমানের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের সহযোগিতায় রাস আল খাইমা পুলিশ নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর বাংলাদেশি এই রেমিট্যান্সযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
জানা যায়, প্রতিদিনকার মতো ইদ্রিস নিজের গাড়ি নিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার সহকর্মী। পথে বৃষ্টির পানির ঢলে হঠাৎ করেই উল্টে যায় ইদ্রিছের গাড়ি। বিপদ বুঝে গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়েন তিনি। সেটাই কাল হল তার। পানির স্রোতে তিনি ভেসে চলে যান আরব সাগরে। আর ফিরে আসা হয়নি তার। দুর্ঘটনার সময় গাড়ি থেকে নামতে না পারা সেই সহকর্মীকে গাড়িসহ ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
রাস-আল-খাইমা (আরএকে) পুলিশের জেনারেল কমান্ডার মেজর-জেনারেল আলী আবদুল্লাহ বিন আলওয়ান আল নুয়িমির জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার দিকে ইদ্রিছের মরদেহের খোঁজ মেলে। ওমানের গামধ সমুদ্র সৈকতে পাথরে আটকা পড়া অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, আরএকে পুলিশ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, বিমান বাহিনী , কে নাইন স্কোয়াড এবং অ্যাম্বুলেন্স যৌথভাবে ছয় দিন ধরে লোকটির সন্ধান ও উদ্ধার করেছিল।
আরএকে পুলিশের কেন্দ্রীয় অপারেশনের মহাপরিচালক এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার ডাঃ মোহাম্মদ আল হুমাইদি বলেন, ” আমাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলি পুরো আমিরাতে সন্ধান করেছে কিন্তু তাকে সনাক্ত করতে পারেনি, বৃহস্পতিবার বিকেলে রয়েল ওমান পুলিশ তাদের ঘামধা সমুদ্র সৈকতের পাথরের মাঝে আটকে পড়া মরদেহটির খবর জানায় আরএকে পুলিশের সেন্ট্রাল অপারেশনস রুমকে ।”
পুলিশ তার পরিচয় যাচাই করার জন্য তার আমিরাতে স্পন্সর ডেকে এনেছিল এবং পনসর মৃতদেহটি শনাক্ত করেছিলেন। বর্তমানে বর্তমানে মর্গে রাখা আছে।
ব্রিগেড আল হুমাইদি যোগ করেন, “শক্তিশালী স্রোত অবশ্যই মরদেহকে সমুদ্র সৈকতের দিকে ঠেলে দিয়েছে।”