ওমানে সংকটগ্রস্থদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন : বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত

বিত্তবান ও স্বচ্ছল প্রবাসী বাংলাদেশিদের আহবান

ওমানের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বন্দর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাঠ বন্ধসহ অনেকগুলো বাস্তবমূখী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। দেশের নাগরিক ও বিপুল সংখ্যার প্রবাসীদের স্বাস্থ্যে সুরক্ষার জন্য নেওয়া এই সব পদক্ষেপ মরণঘাতি করোনা প্রতিরোধের লড়াইয়ে সরকারকে শক্তি যোগাচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এখনও পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকলেও সংকটে পড়েছেন জীবন ধারণে, বিশেষ করে কম আয়ের প্রবাসী কর্মীরা। করোনা ঝুঁকির দুশ্চিন্তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উপার্জনের উৎকন্ঠা।

এই প্রেক্ষিতে ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত গোলাম সরওয়ার বিত্তবান ও স্বচ্ছল প্রবাসী বাংলাদেশিদের চলমান পরিস্থিতিতে সংকটে পড়া অসহায় প্রবাসীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

Travelion – Mobile

এক বিবৃতি তিনি বলেন,”বিশ্বব্যাপী এই দূর্যোগকালীন সময়ে ওমানপ্রবাসী সকল বাংলাদেশি ভাই-বোনদের প্রতি আনুরোধ, আপনারা অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল যারা আছেন এবং সকল সামাজিক সংঘ ও সমাজকর্মীগন আপনাদের আশেপাশে যদি কেউ সংকটগ্রস্থ থাকেন তবে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন।”

করোনাভাইরাস থেকে দেশের নাগরিক ও প্রবাসীদের রক্ষা করতে ওমান সরকারের নেওয়া ব্যাপক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ওমান সরকারের নির্দেশনাসমুহ সবাই কঠোরভাবে মেনে চলুন। সরকার এবং জনগনের যৌথ প্রচেষ্টায় ইনশাআল্লাহ আমরা সহসাই এই দূর্যোগ কাটিয়ে উঠবো। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদ থাকুন এই প্রত্যাশা করছি।”

তিনি গণজমায়েত ও সমাবেশ বন্ধের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা এবং ব্যক্তিগত আড্ডা পরিহার করা ব্যাপারে আবারও জোর দেন। সেই সঙ্গে কোন ধরনের গুজব প্রচার কিংবা আকৃষ্ট না হওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এদিকে ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যারা করোনাভাইরাস (COVID-19) মহামারীর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় প্রয়াসে অবদান রাখতে চায় তাদের জন্য একটি বিশেষ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কমিটির নির্দেশনার পরে এই ঘোষণা দেয় মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরতথ্য অনুযায়ী দেশটিতেকরোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার সবশেষ যুক্ত হয়েছে ১৮ জন করোনা আক্রান্ত । যার মধ্যে ১১ জন আগে আক্রান্ত রোগীদের সাথে সংস্পর্শে সংক্রামিত হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৫ জন যুক্তরাজ্য এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে আসা এবং ২ জন মহামারীটি পর্যবেক্ষণের অধীনে ছিল।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!