ওমানে বিমান ভাড়া বাড়ার কোন আশংকা নেই

করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা বিমানবন্দর চালুর কোন ঘোষণা দেওয়া হলেও ভবিষ্যতে ওমানে ফ্লাইট ভাড়া বাড়ার কোন আশংকা নেই। গেল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেশটির পরিবহন মন্ত্রী এমন অঅশ্বাস দিয়েছেন।

এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে দেশটির পরিবহন মন্ত্রী ডা. আহমদ আল ফুতাইসি বলেন, “আমরা ফ্লাইট চলাচল আবার শুরুর পরে এয়ারলাইন্সের টিকেটের দাম বৃদ্ধির কোন পরিকল্পনা করছি না। পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল এভিয়েশন (পিএসিএ) এক্ষেত্রে দাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে। যদি একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য শুধুমাত্র একটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষ দাম না বাড়ানোর ব্যাপারে ভূমিকা রাখবে আর যদি একাধিক অপারেটর থাকে, তাহলে সেখানে প্রতিযোগিতার কারণে দাম এমনিতেই কম হবে।

পরিবহন মন্ত্রী লকডাউন নিয়ে বলেন, “বর্তমানে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে আকাশ ও স্থলে সীমানা খুলে দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া বিদেশে ওমানিদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা এখনো জারি রয়েছে আর ওমানিদের সালতানাতে প্রবেশও রয়েছে কোয়ারেন্টিনের কড়াকড়ি।

Travelion – Mobile

বিমান পরিবহন খাত নিয়ে মন্ত্রী জানান, এভিয়েশন খাত যাতে কোন বিপর্যয়ের সম্মুখিন না হয় সে ব্যাপারে সরকার সজাগ রয়েছে। যদিও এখন বিমান সংস্থাগুলোর অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে ওমান এয়ারের বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও পাইলটকে ছাঁটাই করা হয়েছে।

“তবে তেলক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিগত এভিয়েশনের ক্ষেত্রে ফ্লাইটসেবা পুনরায় চালু হয়েছে অভ্যন্তরীণভাবে। আমরা খাসাব, মারমুল এবং কার্ন আলমে ফ্লাইট পরিচালনা করেছি। ” এই বিমানবন্দরগুলিতে সাবধানতা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সন্তোষজনক বলে জানান মন্ত্রী।

১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এবং কার্গো হিসেবে মোট ২,৪০০ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান ফুতাইসি।

এদিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. আহমেদ আল সাঈদী বলেছেন যে সীমান্ত এখনো বন্ধ এবং বিদেশ ভ্রমণ এখনো এখানে অনুমোদিত নয়।

সীমান্ত খুলে দেয়ার জন্য জিসিসি দেশগুলির মধ্যে সমন্বয় করে পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং ঘোষণা আসলে যৌথ ব্যবস্থায় তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একজন কর্মকর্তা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!