ওমানে ফ্লাইটের ইঞ্জিনে আগুন, অল্পের জন্য বাঁচলেন ১৫১ আরোহী!

ওমানে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন একটি ফ্লাইটের ১৫১ জন আরোহী। ফ্লাইটের ইঞ্জিনের আগুন ধরে গেলে দ্রুত যাত্রীদের সরে নেওয়া হয়। এ সময় ১৪ জন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন।

বুধবার বিকেলে মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতের কেরালার কোচিগামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজে ( ফ্লাইট IX 442) এ দুঘর্টনা ঘটে।

উড্ডয়নের ঠিক আগে উড়োজাহাজটির একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। রানওয়েতে চলার সময়ই হঠাৎ বিমানের ইঞ্জিন থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়।

Travelion – Mobile

ওমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএ) মতে, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট IX 442 স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১ টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। উড্ডয়নের আগে একটি ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়, যার জন্য যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। সরিয়ে নেওয়ার সময় যাত্রীদের পদদলিতর কারণে কিছু ছোটখাটো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”

সিএএ এবং ওমান বিমানবন্দরের সূত্র যোগ করেছে যে, যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং বিমান চলাচলের উপর কোন প্রভাব পড়েনি।

আরও পড়তে পারেন : ওমানে ব্যবহৃত গাড়ির বাজার চড়া

সন্ধ্যায় প্রকাশিত চূড়ান্ত বিবৃতিতে, সিএএ বলেছে, “জরুরি অবস্থার অবসান হয়েছে, এবং বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় পদ্ধতি অনুসারে পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হয়েছিল। ভবিষ্যত এই ধরনের ঘটনা এড়াতে তদন্ত শেষ চলছে ।”

সম্ভাব্য ক্ষতি এবং ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করায় সিএএ এভিয়েশন সেক্টরের সকল অংশীদারদের ধন্যবাদ জানিয়েছে ।

ভারতের বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ) জানায়, দুর্ঘটনার সময় ফ্লাইটটি চার শিশুসহ ১৪৭ জন যাত্রী এবং ছ’জন ক্রু (বিমানচালক ও বিমানকর্মী) ছিলেন। দ্রুত সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়তে পারেন : নেতিবাচক প্রচার মোকাবিলায় ‘অভিবাসী কূটনীতি’ চালু করছে সরকার

ঘটনাটি নিশ্চিত করে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস তার অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলেছে, “ফ্লাইটটি ট্যাক্সিওয়েতে থাকার সময়, অন্য একটি ফ্লাইটের ককপিট ক্রুরা রিপোর্ট করে যে, একটি ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের ককপিটে আগুনের কোনো সতর্কবার্তা ছিল না।

“প্রচুর সতর্কতা হিসাবে এবং নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (SOPs) অনুসরণ করে, ক্রুরা ট্যাক্সিওয়েতে থামে এবং অনবোর্ড ইঞ্জিনের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রগুলিকে সক্রিয় করে। তারপরে, যাত্রীদের উড়োজাহাজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়”, ডিজিসিএ আরও জানায়।

“মাস্কাট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দ্বারা পূর্ণ সহযোগিতা প্রসারিত করা হয়েছিল এবং যাত্রীদের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। সরিয়ে নেওয়ার সময় কিছু যাত্রীর সামান্য আঘাত ছাড়া কোনো বড় ধরনের আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।”

আরও পড়তে পারেন : ওমানে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব চেয়ারম্যানের ‘সম্মাননা’ অর্জন

এয়ারলাইনটি আরও জানিয়েছে যে, বিষয়টি তার নিজস্ব ফ্লাইট সেফটি ডিপার্টমেন্টের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দ্বারা তদন্ত করা হচ্ছে।

এয়ারলাইনস বলেছে যে, এটি মাস্কাটে অতিথিদের জন্য সমস্ত সুবিধা প্রসারিত করেছে এবং বুধবার পরে অতিথিকে কোচিতে উড়ানোর জন্য একটি ত্রাণ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেও কেরালার কালিকট (কোঝিকোড়) থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার দুবাইগামী বিমানে মাঝআকাশে আগুন ধরে যায়। সেসময় জরুরি ভিত্তিতে বিমানটি মাসকাট বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।

আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজ যুক্ত হতে চাইলে এখানে ক্লিক করার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!