ওমানে গুজব রটনা ও কোয়ারেন্টিন ভঙ্গের দায়ে ২০ জন গ্রেপ্তার
ওমানে করোনাভাইরাস (কোভিড -১৯) নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ৯ জন এবং হোম কোয়ারেন্টিন আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
পাবলিক প্রসিকিউশন (পিপি) জানিয়েছে, শোকের উদ্দেশ্যে সমাবেশ, সম্মিলিত প্রার্থনা, স্থগিত পেশার অনুশীলন এবং বাড়ির পৃথকীকরণ মানে হোম কোয়ারেন্টিন নিয়ম অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।
বিস্তারিত বিবরণে পাবলিক প্রসিকিউশন জানিয়েছে যে, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি গুজব পর্যবেক্ষণ করার পর নয় জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে এক মামলায় আদালত একজনের এক মাসের জেল এবং আরও ১,০০০ রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে। অপর মামলাগুলো এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
অন্যদিকে হোম কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করার অপরাধে গ্রেপ্তার ১১ জনকে আপাতত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবলিক প্রসিকিউশন নিশ্চিত করেছে যে, তারা প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি এবং ব্যবস্থা লঙ্ঘনকারীদের অনুসন্ধান করে চলছে এবং ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
ওমানের বিভিন্ন প্রদেশে করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বিষয়ে বহু গুজব ছড়িয়ে পড়েছে দেখে পাবলিক প্রসিকিউশন আবারও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে এই ধরনের কাজকর্মে জড়িত নাগরিক ও প্রবাসী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ওমান পেনাল কোডের ১১৫ এ অনুচ্ছেদে অনুসারে রাষ্ট্রীয় স্তরে গুজব ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের বিষয়ে অপরাধীকে তিন মাসেরও কম এবং তিন বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
কর্তৃপক্ষ তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, “প্রিয় নাগরিক/প্রবাসী: প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে (ফেসবুক, টুইটার, ইন্সট্রেগ্রামসহ সোশ্যাল) জনসাধারণের শৃঙ্খলার ক্ষতি করতে পারে এমন মিথ্যা সংবাদ বা গুজব পাঠানো বা শেয়ার করা একটি অপরাধ, যা তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে।”
প্রকৃতপক্ষে করোনভাইরাস সম্পর্কে খবরের বিষয়ে অফিসিয়াল নিউজ চ্যানেলগুলি অনুসরণ করার জন্য জনসাধারণের কাছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের প্রতিক্রিয়া হিসাবে পাবলিক প্রসিকিউশনের এমন সতর্কবার্তা আসে।
কর্মকর্তারা বলেন “বর্তমানে সালালাহ, বারকা, আল মুধাইবি, আল মুসানাহ এবং সুলতানাতের বেশ কয়েকটি প্রদেশে নতুন করণীয় উল্লেখ করে করোনভাইরাস নিয়ে প্রচুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা আপনাদের অবহিত করছি যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (MoH) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা তথ্যের বাইরে এগুলি সবই ভুল।”