ওমানে ‘আউটপাস’ নিয়ে গুজব না ছড়াতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তি
ওমানে অবৈধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশিসহ প্রবাসীদের জন্য দেশটির সুলতান এখন পর্যন্ত কোন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেননি। ফলে অবৈধ প্রবাসীদের বিনা জরিমানার আউটপাসে দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ নিয়ে কমিউনিটিতে গুজব বা বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১০ জুন) মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ: জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,”ওমানে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের বিনা জরিমানায় দেশে ফিরে যাবার সুযোগ প্রদানের জন্য মহামান্য সুলতানের কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন জানিয়ে একাধিক কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে ওমান সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। তাছাড়াও ওমান সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। তবে এখন পর্যন্ত মহামান্য সুলতান ওমানে বসবাসরত অবৈধ বিদেশী নাগরিকদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেননি।”
“এই বাস্তবতায় অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের বিনা জরিমানায় দেশে ফেরত পাঠানোর সুযোগ বাংলাদেশ দূতাবাস বা বাংলাদেশ সরকারের হাতে নেই, যা বেশিরভাগ বাংলাদেশি ভাই-বোনেরা অবগত আছেন”, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
ইদানিং কেউ কেউ এ বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে এবং নানা প্রকার মিথ্যা তথ্য সম্বলিত ভিডিও প্রচার করে নিরীহ বাংলাদেশি ভাই-বোনদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন-এই তথ্য দিয়ে দূতাবাস বলছে, “এ ধরণের গর্হিত কর্মকাণ্ড ওমান কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তা একদিকে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে তেমনি ওমানে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক নিরপরাধ বাংলাদেশিদের মান-মর্যাদা এবং জীবিকার উপর প্রভাব ফেলবে।”
দূতাবাস ওমানে বসবাসরত সকল সচেতন বাংলাদেশি নাগরিক, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশি সংগঠনকে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশিদের মধ্যে সঠিক তথ্য প্রচার এবং সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।
পাশাপাশি সকল প্রকার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবস্থাপক ও ব্যবহারকারীদের এই ধরণের প্রচারণা নিরুৎসাহিত করে বেশি বেশি করে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে এই করোনা মহামারিকালীন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনোবল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাস আশা করছে, সহসাই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হলে বৈধভাবে কর্মরত বাংলাদেশি ভাই-বোনেরা নির্বিঘ্নে দেশে যাওয়া-আসা করতে পারবেন।