এয়ার এম্বুলেন্সে ৪ করোনা রোগীকে ঢাকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক
তুরস্ক সরকার বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশের এক নাগরিক এবং তার বাংলাদেশি স্বামী (তুরস্ক প্রবাসী) ও দুইসন্তানসহ ৪ জন করোনাভাইরাস (কোভিড -১৯) আক্রান্ত রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এম্বুলেন্সে দেশে সরিয়ে নিয়েছে।
রবিবার (২৪ মে) তুরস্ক থেকে আসা দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা করা একটি এয়ার এম্বুলেন্স ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের নিয়ে আবারফিরে যায়।
বাংলাদেশে তুরস্ক দূতাবাসের বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়, “তুর্বা আহসান, তুর্কি নাগরিক, তার বাংলাদেশি স্বামী মোসাদ্দিক আহসান এবং তাদের তিন বছরের যমজ হুমা ও জিয়াদকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে তুরস্ক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ”
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান এবং মিশনের উপ-প্রধান এনিস ফারুক এরদেম বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইস্তানবুল থেকে রওনা হয়ে রবিবার সকাল ৮.৪০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দের এয়ার এম্বুলেন্সটি অবতরণ করে। সেখান থেকে ৪ রোগীকে নিয়ে সকাল ১০.৩০ মিনিটে আবার তুরস্কের পথে উড়াল দেয়। আসা-যাওয়ার পথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতি করে এম্বুলেন্সটি।
বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত বলেন,”তুরস্ক ২০০৮ সাল থেকে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে উপস্থিত নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সরবরাহ করছে।”
“করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষিতে এই বছর তুরস্ক তাদের জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সারা বিশ্বে থেকে ২১১ জন নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে”, তিনি আরও যোগ করেন।
তিনি বলেন, যে কোনও তুর্কি নাগরিক যে কোনও কারণে করোনাভাইরাসের প্রয়োজনীয় চিকিত্সা গ্রহণ করতে অক্ষম যারা তাদের সরকার এই পরিষেবা দিচ্ছে। আজ [রবিবার] তুরস্কে শুরু হওয়া ঈদের ছুটিতেও এই পরিষেবাগুলি নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে। ”
এর আগে ২১ শে এপ্রিল তুর্কি এয়ারলাইনসের চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রায় ১৫৪ জন তুর্কি নাগরিক বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন।