এভিয়েশনশিল্প রক্ষায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স অপারেটরদের ৩ দাবি
দেশের এয়ারলাইন্স শিল্প রক্ষায় তিন দফা দাবি জানিয়েছে এভিয়েশন অপারেটরস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এওএবি)। বিমান প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলীর কাছে আজ বুধবার এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।
এওএবি মহাসচিব মফিজুর রহমান এবং সংগঠনের সিনিয়রসহ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুনের সই করা চিঠিতে বলা হয়, দীর্ঘ দুই বছর কোভিড-১৯ এর কারণে এই শিল্প প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে। সেই পরিস্থিতি থেকে সবেমাত্র যখন এয়ারলাইন্সগুলো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তখন জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং কিছু অযাচিত পরিস্থিতির কারণে এই শিল্প প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ভর্তুকির মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের ফলে বেসরকারি এয়ারলাইন্স খাত এক অকল্পনীয় অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। আভ্যন্তরীণ সেক্টরে যাত্রী প্রতি আয়ের বিপরীতে প্রায় দ্বিগুণ ভর্তুকি দিয়ে সুদীর্ঘকাল বিমান ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। এই পরিস্থিতির আশু সমাধান কাম্য।
অন্যদিকে যন্ত্রাংশ আমদানি ও রপ্তানিতে সীমাহীন জটিলতার বিষয়ে বলা হয় যে, দীর্ঘদিন ব্যাপী বাংলাদেশের আমদানি নীতিতে এয়ারক্রাফট ও যন্ত্রাংশ আমদানি অন্তর্ভুক্ত না থাকায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স পদে পদে প্রতিকূলতার মুখে ছিল।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের আমদানি নীতিতে এয়ারক্রাফট যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সেই দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে আমরা আশান্বিত ছিলাম। কিন্তু বর্তমানেও পূর্বের মতো দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যন্ত্রাংশ আমদানি-রপ্তানি ও পুনঃ আমদানি করতে হয়।
এই প্রক্রিয়া এয়ারলাইন্স শিল্পের মতো একটি অগ্রসরমান খাতের জন্য সহনীয় নয়। সেহেতু যন্ত্রাংশ আমদানি শুধুমাত্র আমদানি নীতির আওতায় সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া অপরিহার্য বলে জানায় সংগঠনটি।
এছাড়া মূল যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী (OEM/FAA/EASA) প্রত্যায়িত প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ ও যন্ত্রাংশ আমদানি বিষয়ে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ সিএএবি এর পুনঃপৌনিক পরিদর্শন এবং অনুমোদনের শর্তাধীন। কিন্তু এই ব্যবস্থা যুক্তিযুক্ত কোনো প্রায়োগিক নীতির সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। সিএএবি কর্তৃক আরোপিত এসব বিধান অতিসত্বর বন্ধ করা প্রয়োজন জানিয়েছে এওএবি।