ই-ভিসা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ-আমিরাত সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশে ই- ভিসা ও ই-টিএ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই দেশের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি।
>আমিরাতের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এসময় সুরক্ষা সেবা বিভাগ, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং ঢাকাস্থ আমিরাত দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়তে পারেন : আমিরাতে প্রবাসী উৎসবে বাংলাদেশি নারীদের একদিন
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে জিটুজি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ই-ভিসা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিলো। যা ই-ভিসা সিস্টেমের ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশ ও ইউএই’র জন্য চিহ্নিত হয়ে থাকবে। দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় অর্জন।
আরও পড়তে পারেন : আমিরাতে নিজের জীবন দেওয়া প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরছে
‘এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে যেসব বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক তারা সহজেই ই-ভিসা সিস্টেমের মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবেন। আমরা বিশ্বাস করি এটি বিদেশি বিনিয়োগ এবং পর্যটন খাতে অনেক সুযোগ সৃষ্টি করবে’, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ করেন।
সুরক্ষা সেবা বিভাগ ইদানীং অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম সহজেই বিভিন্ন বিষয়ে সেবা দিচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ই-ভিসা বাস্তবায়ন হলো সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রয়াস যার মাধ্যমে অনলাইন ভিসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
আরও পড়তে পারেন : ‘বাংলাদেশের আন্তরিকতায় মুগ্ধ আমি, জন্মেছে অনেক মায়া’: আমিরাতের রাষ্ট্রদূত
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় লক্ষ্য হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ, যা অর্জিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে। বাংলাদেশি ই-ভিসা বাস্তবায়নও প্রধানমন্ত্রীর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি। বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিশেষ গুরুত্বরোপ করেছেন।
আমিরাত সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে এবং উভয় দেশই ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির সদস্য। আমিরাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা দুই দেশের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছেন।
আরও পড়তে পারেন : আমিরাতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন
মন্ত্রী বলেন, ইউএই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী দেশ। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক ভিত্তি হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা। আমি বিশ্বাস করি দুই দেশের মধ্যকার বেশ কিছু পারস্পরিক বিষয় রয়েছে যার আরও প্রবৃদ্ধি ঘটিয়ে জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়াতে পারি।