ইসরায়েলের রহস্যময় উড়োজাহাজ সৌদি আরবে !

ইসরায়েল থেকে সৌদি আরব যাওয়া একটি রহস্যময় উড়োজাহাজ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। খোদ ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যমেই এ নিয়ে চলছে তুমুল বির্তক।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর তেল আবিব থেকে উড়াল দিয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবতরণ করে রহস্যময় উড়োজাহাজটি। উড়ানের পথে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে দুই ঘন্টার যাত্রাবিরতিও নিয়েছে উড়োজাহাজটি।

রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫৫ মিনিট অবস্থান করে উড়োজাহাটি। আবার উড়াল দিয়ে সরাসরি তেল আবিবের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে ফিরে আসে।

Travelion – Mobile

এই বিমানে যাত্রী কে ছিলেন, তা নিয়ে ইসরায়েল গণমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং উপাত্তে দেখা গেছে, চ্যালেঞ্জার ৬০৪ নামের N556US উড়োজাহাজটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত। ব্যক্তিগত মালিকানার উড়োজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ছিল। যেটি ইসরাইলের বেন গৌরিয়ান বিমানবন্দরে ফিরে যাওয়ার আগে রিয়াদে ঘণ্টাখানেক ছিল।

ফ্লাইটরাডার২৪ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উড়োজাহাজটি ইসরায়েল থেকে কায়রোতে কয়েকবার ভ্রমণ করেছে।

ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এমন সময় এই রহস্যময় উড়োজাহাজটির সৌদি আরবে আসার খবর আসল, যখন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার রিয়াদ সফরে ছিলেন। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু কিংবা দেশটির অন্য কোনও কর্মকর্তা রিয়াদের বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

এক টুইট বার্তায় সাংবাদিক ও উড়োজাহাজ শনাক্তকরণ উপাত্ত সংগ্রহকারী আভি শার্ফ জানিয়েছিলেন, যে তিনি একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই রহস্যময় বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছেন যা স্মার্টফোনে ডাউনলোড করা যায়।
শার্ফ আরও বলেন,‘রিয়াদে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে তেল আবিব থেকে কেউ এসেছেন কিনা,আমি জানি না।’

বুধবার ইস্রায়েলের অনেক সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছিলেন কিভাবে ঔ সাংবাদিক উড়োজাহাজটির রহস্যজনক চলাফেরার কথা প্রকাশ করেছেন।

ইস্রায়েলি পত্রিকা মারিভের নিরাপত্তা বিষয়ক সাংবাদিক ইয়োসি মেলম্যান টুইট বার্তায় “ফ্লাইট লন্ডারিং” শব্দটি ব্যবহার করে উল্লেখ করেন যে, সৌদি কর্তৃপক্ষ তেল আবিব থেকে তাদের ভূখণ্ডে সরাসরি বিমান চালানোর অনুমতি দেয় না, সুতরাং উড়োজাহাজটি কয়েক মিনিটের জন্য কাছের তৃতীয় দেশে থামে এবং তারপর যায় সৌদি আরব, যে দেশের সাথে কোনও আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই ইস্রায়েলের।

সম্ভবত ইস্রায়েলের কোন প্রবীণ কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী, গোয়েন্দা প্রধান সিরিয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন -এমন ধারণার কথা টু্ইটে জানান মেলম্যান।

মানুষের চোখে ধুলা দিতেই উড়োজাহাজটি আম্মানে থেমেছিল কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক ইয়োসি মেলম্যান। তিনি বলেন, এতে করে উড়োজাহাজটি একক ট্রান্সপোন্ডার কোড পাবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!