ইতালিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সিলর মো. আল আমিন ও প্রথম সচিব (শ্রম) আসিফ আনাম সিদ্দিকী।

এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধ ও দক্ষ জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় অবদানের কথা তুলে ধরেন।

Travelion – Mobile

জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুই এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাকে নেতৃত্বের আসনে রেখেই মুক্তিযুদ্ধ চলতে থাকে।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। তবে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ পায় বাঙালি জাতি। পুরো জাতিই সেদিন বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। সেদিন আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান।

এক পর্যায়ে তিনি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ধ্রুপদী বক্তৃতার উদ্ধৃতিটি তুলে ধরেন, ‘আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র’।

অবশেষে রাষ্ট্রদূত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, দেশ ও দেশের কল্যাণে জীবন উৎসর্গকারী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!