ইতালিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত, ৬ মাসের জরুরী অবস্থা জারি
ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজন শনাক্ত হয়েছে। এরা হলেন দেশটিতে বেড়াতে যাওয়া চীনা দম্পতি। সপ্তাহে প্রথম দিকে দুই চীনা নাগরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। করোনাভাইরাসে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার ৬ মাসের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ইতালীর রাজধানী রোমের ভিয়া কাপুরে অবস্থিত প্যালাতিনো হোটেলে অবস্থানরত দুজন চীনা পর্যটকদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। ৬৬ এবং ৬৭ বয়সের এই চীনা দম্পতিকে স্থানীয় একটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।
চীনের উহান শহর থেকে গত ২৩ জানুয়ারি মিলনের মালপেন্সা এসে পৌছায় এবং সেখান থেকে তারা ইতালির বিভিন্ন প্রদেশ ভ্রমণ করে। তাদের সঙ্গে আসা গ্রুপটি গতকাল বাসে করে ক্যাসিনোতে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু স্বাস্থ্য নজরদারির পদ্ধতি গ্রহণের পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হসপিটালে নিয়ে যায়।
পুলিশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পর্যটক দম্পতির ৮ দিনের জন্য বুকিং করা হোটেল রুমটি সিলগালা করে দিয়েছ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে ইতালির মন্ত্রিসভার জরুরী বৈঠকে ৬ মাসের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিকভাবে জরুরী অবস্থা ঘোষণার আলোকে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবের্তো স্পরোনজা বলেছেন, সকল প্রকার সতর্কতার নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম সক্রিয় করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক বার্তায় আন্তর্জাতিক সতর্কতার সর্বোচ্চ স্তরে ইতালিকে রাখার কথা জানান।
ইতালীর প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরানজা এবং সংক্রামক রোগের ল্যাজারো স্প্যালানজানি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক জিউসেপ ইপোলিটকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের সবাইকে সজাগ এবং খুব যত্নবান থাকতে হবে, তবে আতংকিত ও সামাজিক উদ্বেগ তৈরি করার কোনো কারণ নেই।
প্রধানমন্ত্রী ইতালিতে অবস্থানরত নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন নিশ্চিত করার কথা জানান। এছাড়াও তিনি চীন থেকে আসা পর্যটক এবং সকল প্রকার ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেন।