আরব আমিরাতে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা
করোনভাইরাস প্রাদূর্ভাবের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ট্রানজিটসহ সকল যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
দুই সপ্তাহের জন্য নেওয়া এই সিদ্ধান্ত আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কার্যকর করা হবে বলে আমিরাতি কর্র্তপক্ষ জানিয়েছে।
সরকারী রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা-জানিয়েছে, জাতীয় জরুরী এবং সংকট ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কোভিড ১৯-এর বিস্তার রোধে গৃহীত সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সমস্ত অভ্যন্তরীণ ও বহির্মুখী যাত্রীবাহী বিমান ও বিমানবন্দর যাত্রীদের ট্রানজিট দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কর্র্তপক্ষ বলছে,”দুই সপ্তাহের জন্য পর্যালোচনা সাপেক্ষে নেওয়া এই সিদ্ধান্তটি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কার্যকর হবে। শুধু কার্গো এবং জরুরি সেবার বিমানগুলো ছাড় পাবে।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ পর্যন্ত ১৫০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং গত শুক্রবার দেশটি প্রথম দু’জন মারা যায়।
এর আগে দুবাইভিত্তিক বিশ্বখ্যাত বিমানসংস্থা এমিরেটস ঘোষণা করে যে, আগামী বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে তাদের সকল যাত্রীবাহী উড়ান স্থগিত করবে, তার ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরে সোমবারের এই ঘোষণা আসে।
তবে এভিয়েশন জায়ান্ট তার সিদ্ধান্তটিকে উল্টে দিয়ে বলেছিল যে,”সরকার এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে যাত্রীদের প্রত্যাবাসনে সুযোগ ও সহায়তার দেওয়ার অনুরোধ আসার প্রেক্ষিতে ১৩ টি গন্তব্যে যাত্রী বিমান চলাচল অব্যাহত থাকবে।
আমিরাত জানিয়েছিল যে, তারা যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় উড়তে থাকবে।
সরকারের সোমবাের ঘোষণার প্রেক্ষিতে তাও আর অব্যাহত রাখা যাবে না বলে ধরে নেওয়া যায়, তবে এ বিষয়ে এমিরেটস এখননও কোন সিদ্ধান্ত জানায় নি।
উপসাগরীয় দেশগুলি বিশেষত বিমান পরিবহন খাতে করোনভাইরাস মহামারী ছড়িয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত আগমনী ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এবং বৈধ বিদেশী বা প্রবাসী যারা বিদেশী কিন্তু বিদেশের বাইরে তারা বিদেশে ফিরে আসতে নিষেধ করেছে।