আমিরাতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বাংলাদেশ দূতাবাস
সংযুক্ত আরব আমিরাতে যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানী আবুধাবীতে দূতাবাস চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। এরপরে তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর একে একে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান এবং বাংলাদেশ স্কুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ সমিতিসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
দূতাবাস মিলনায়তনে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও লেবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল আলিম মিয়ার পরিচালনায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আলোচনা সভা র শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাস উপ-প্রধান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, লেবার কাউন্সেলর মোহাম্মদ আবদুল আলিম মিয়া, কাউন্সেলর রিয়াজুল হক, দূতাবাস সচিব লুৎফর নাহার নাজিম।
বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল, বাংলাদেশ সমিতি আবুধাবীর সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জম হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু, সহ সভাপতি শওকত আকবর, সাধারণ সম্পাদক নাছির তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কাদের ইফতি, মুক্তিযাদ্ধাদের পক্ষে নজরুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের সিইও আমিনুল হক বিমানের রিজোনাল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হোসেন, যুবলীগের জাকির হোসেন জসিম, আল আইন বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা শেখ ফরিদ সি আই পি, প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর সভাপতি এস এম রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি শেখ রহুল আমিন, সাইফুন নাহার জলি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম ’৭১ এর রণাঙ্গনের বীরগাঁথা বর্ণনা করেন এবং বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে বিশেষ সম্মান ও সহয়তা প্রদান করছে সে জন্য তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর তার বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। সেই সঙ্গে তিনি বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভম হারানো দুই লক্ষ মা বোন, জাতীয় চার নেতাকে এবং শ্রদ্ধা জানান সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি।
দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রাম ও তৎপরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অনন্য নেতৃত্ব ও অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন, যে চেতনায় উজ্জীবিত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন, কভিড-১৯ সংকট অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও দেশের উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে সভার শেষ হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরতের অন্যতম প্রধান ইংরেজি দৈনিক খালিজ টাইমসে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়।