আমিরাতে নিজের জীবন দেওয়া প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরছে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে আত্মহননে মারা যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশি খায়রুল বশর রানার (৫০) মরদেহ দুই মাস পর দেশে যাচ্ছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর )স্থানীয় সময় রাত ১২.৫ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের BG-0148 ফ্লাইটে মরদেহটি দেশে পাঠানো হয়েছে ৷ বাংলাদেশ সময় সকাল ৬.৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছাবে৷
>আমিরাতের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সারোয়ার আজম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ফখরুল ইসলাম সিআইপির আর্থিক সহযোগীতায় মরদেহ দেশে পাঠানো হচ্ছে।
গত ২২ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে আজমান শহরের লাকী রাউন্ড এলাকার ভাড়া বাসা থেকে লাইভে থাকা অবাস্থায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন খায়রুল বশর রানা । মৃত্যুর আগে তিনি তার ঘনিষ্ট বন্ধু প্রবাসী বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ীকে দায়ী করে যান।
আগের খবর : আমিরাতে ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশির আত্মহত্যা, বন্ধুকে দায়ী
আমিরাত সময় ৪.৫৯ মিনিটে খায়রুল বশর রানা তার ফেসবুক আইডি ‘কেভি রানা’ থেকে লাইভে আসেন। গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় কান্না জড়িত কন্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়,”সুয়াবিলের রফিক আমার জীবন নষ্ট করে ফেলেছে..আমাকে বরবাদ করে দিয়েছে। আমার দোকান খেয়ে ফেলেছে। আমার গাড়ি খেয়ে ফেলেছে। রফিকের জন্য আজ আমি সুইসাইড করছি । আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন……।” এরপর তিনি কলেমা পড়ে দড়িতে ঝুলে পড়েন। এই দৃশ্য ক্যামেরার ফ্রেমে আসে নি। শুধু কলেমার উচ্চারণ শোনা যায়।
আগের খবর : পথেই নিভে গেল আমিরাতপ্রবাসী আলী হোসেনের জীবন প্রদীপ
রানার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেটে দেখা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে নানা পোস্টের মাধ্যমে ঘনিষ্ট বন্ধু রফিককে দায়ী করে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন বশর।
পোস্টগুলো থেকে জানা যায়, করোনা মহামরিতে প্রবাসে অর্থ সংকটে পড়েন মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকান মালিক খায়রুল বশর রানা। ঋণ করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দেশে গ্রামের বাড়িতে থাকা মা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা খরচে যোগাড়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের দোকানটি বিক্রি করে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বন্ধু রফিক দোকানটি কিনে নেন।
আগের খবর : আমিরাত ফেরা হলো না প্রবাসী মাসুদের
খায়রুল বশর রানা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ধর্মপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মরহুম বদিউল আলমের ছেলে। দেশে তার বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ও ১০ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে।
>আমিরাতের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ