আমিরাতে তিনদিনের ‘প্রবাসী উৎসব শুরু, পরিকল্পনামন্ত্রীর উদ্বোধন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিনদিন ব্যাপী ‘প্রবাসী উৎসব শুরু হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে পঞ্চমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে আইডিয়া গ্যালারি ।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) শারজাহ এক্সপো সেন্টারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনের দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান, আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন, এনআরবি-সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান নাসের সিআইপি।
প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধ, অবৈধ স্বর্ণ চালান রোধ করা, বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ, রেমিট্যান্স প্রেরণে চার্জ মওকুফ করা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের জটিলতা নিরসনেসহ বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন প্রবাসীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্ব বহন করে । তাই দেশের উন্নয়নে ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে সহযোগী হতে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো জরুরি।
আরও পড়তে পারেন : আমিরাতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন
পতিনি , প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রবাসীদের সকল যৌক্তিক দাবি সমুহের ব্যাপারে সরকার খুবই আন্তরিক ৷ বিমানবন্দরে হয়রানি, সহজ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থাসহ যতগুলো পরামর্শ আমরা পাচ্ছি তা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ৷
‘আমরা দেশের সকল ব্যাংকদের বলব প্রবাসীদের সেবার ব্যাপারে তারা যেন আরও সচেতন হয়’, এম মান্নান যোগ করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সরকারের সমালোচনা করা ভালো, তবে সমালোচনা রাজনীতির উদ্দেশ্যে যেন না হয়। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন অর্থনীতি আর রাজনীতিকে এক করা উচিৎ না।
আরও পড়তে পারেন : নভেম্বরে চাঁদে যাচ্ছে আমিরাতের ‘রাশিদ রোভার’
পরে মন্ত্রী উৎসবের মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যাংক ও আমিরাতের বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ মিলে ২০টি প্রতিষ্ঠান উৎসবে স্টল নিয়ে নিজেদের উপস্থাপন করছে।
উৎসবের আকর্ষণ বাড়াতে প্রবাসী শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা,রমণীদেরর পিঠা উৎসব ও শাড়ি নিয়ে ফ্যাশন শো এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের রাখা হয়েছে।
রবিবার পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানমালার মধ্যে দিয়ে চলবে উৎসব। প্রবেশাধিকার সবার জন্য উন্মুক্ত ।