আমিরাতে চলাফেরার ওপর সকল বিধিনিষেধ প্রত্যাহার

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণের চলাচলের সকল নিষেধাজ্ঞাগুলি তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বাসিন্দারা দিনের যে কোনও সময় অবাধে ভ্রমণ করতে পারবেন। দেশটিতে বুধবার জাতীয় নির্বীজন কর্মসূচি সম্পন্ন করার পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে, দুবাইয়ের রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬ টা এবং অন্য সকল আমিরাতি রাজ্যে রাত ১০ টা এবং সকাল ৬ টার পর্যন্ত জাতীয় নির্বীজন কর্মসূচির সময় নাগরিক ও প্রবাসীদের তাদের বাড়িতে থাকতে হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞা তোলার ঘোষণা দিয়ে জাতীয় সঙ্কট ও জরুরী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনসিইএমএ) এর মুখপাত্র ড. সাইফ আল ধাহেরি বলেছেন, “আজ আমরা জাতীয় জীবাণুনাশক কর্মসূচির সমাপ্তির ঘোষণা করছি, যা দেশের জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা, চলাফেরা ও পরিবহণকে কভার করেছিল। তবে, সরকারী ভবনগুলি নিয়মিত নির্বীজিত হতে থাকবে।”

Travelion – Mobile


বুধবার (২৪ জুন) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. ধাহেরি আরও বলেন, “এই প্রোগ্রামটি আমাদের দুবাই মেট্রো সহ গণপরিবহণের মতো জনসাধারণের সুবিধাকে জীবাণুমুক্ত করতে সহায়তা করেছে। আমরা সমস্ত জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধাকে জীবাণুমুক্ত করতে থাকবো।”

এদিকে আবুধাবি থেকে অন্য প্রদেশে যাওয়ার অনুমতি দিলেও পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত অন্য প্রবেশ থেকে আবুধাবি প্রবেশ করা যাবে না। তবে আবুধাবির অভ্যন্তরে অনায়াসে যাতায়াত করা যাবে। আবুধাবি পুলিশের বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আগের খবর : ৪৫ দিনে আমিরাত থেকে ফিরেছে শতাধিক মরদেহসহ পাঁচ হাজার বাংলাদেশি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনভাইরাস প্রতিরোধে জীবাণুমুক্তকরণ কর্মসূচি পরিচালনা করার জন্য ২৬ শে মার্চ থেকে ২৯ শে মার্চ প্রথম তিন দিনের কারফিউ দেওয়া হয়েছিল। রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কারফিউ চলাকালীন জরুরী অবস্থা ছাড়া বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি।

৩১ শে মার্চ ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী রাস্তা এবং জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধাকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য চলাচলে বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছিল। রাত ৮ থেকে থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত জারি করা হয়েছিল কারফিউ। মেট্রো, বাস, ট্যাক্সি ও বিমানবন্দরগুলি জীবাণুমুক্ত করার দেশব্যাপী অভিযানও পরিচালিত হয়। বন্ধ করা হয়েছেল শপিংমল এবং রেস্তোঁরা ।

২৩ শে এপ্রিল পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল যে, রাত দশটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ সমন্বয় করার। মল এবং রেস্তোঁরাগুলিকে ৩০ শতাংশ ধারণক্ষমতাতে খোলার হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

করোনাময় বিশ্ব: জনশক্তি রপ্তানি খাত কোন পথে

আবিদা ইসলামরাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ দূতাবাস, দক্ষিণ কোরিয়ানাহিদা সোবহানরাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ দূতাবাস,জর্ডান

Posted by AkashJatra on Sunday, June 21, 2020

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!