আফ্রিকা থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে

আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলো থেকে প্রবাসীদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট মিশনগুলোতে চিঠি দিয়েছে।

আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা জানান। ৪ থেকে ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অমিক্রনের সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলো থেকে প্রবাসীদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা আমাদের মিশনগুলোকে চিঠি দিয়েছি। তবে কেউ যদি দেশে আসেন, তাহলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।’

Travelion – Mobile

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কোনো প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসছেন না। তাঁদের প্রথমে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পরে তা স্থগিত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

সম্প্রতি আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্ত হয়। এই ধরনটি নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা, করোনার নতুন এ ধরন বিশ্বের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় এক ডজন দেশে করোনার নতুন ধরন অমিক্রনে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ধরনটির বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের প্রায় ৪০টির বেশি দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বাংলাদেশও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা নিরুৎসাহিত করা। আর এলেও তাঁদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা। এ ছাড়া সীমান্তে তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার সময় ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা বা ৪৮ ঘণ্টায় নামিয়ে আনাসহ আরও কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!