অ্যাবকার নতুন কার্যকরী কমিটি
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদকে সভাপতি এবং সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মো. শাহাবুলকে সাধারণ সম্পাদক করে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাইয়ের (অ্যাবকা) ২০২১-২৩ সালের কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ওয়েবিনারে চীনের ক্ষমতাসীন দল চায়না কমিউনিস্ট পার্টির শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে সংগঠনটির ২৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ৩ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, অনারারী সভাপতি প্রাক্তন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পিএসসি, ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ছাই শি, সহ-সভাপতি-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মইনুল ইসলাম ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মো. রকিবুল হক।
যুগ্ম-সম্পাদক- চীনের সাংহাই ইউনিভার্সিটির গবেষক ডক্টর এ.এ.এম. মুজাহিদ, ওরিওন রেন্টাল অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল হেড অব অপারেশন (ইনচার্জ) ডা. মো. আবু কাউসার শপন এবং হুয়াযং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মারুফ হাসান।
সাংগঠনিক সম্পাদক-পিকিং ফার্স্ট ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুস সাকিব, অর্থ-সম্পাদক- ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক (গণিত) ডক্টর কে এম শফিক, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক চীনের চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকনোমিকসের পিএইচডি গবেষক মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম, সমাজসেবা সম্পাদক-আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক জান্নাত-উন নাহার , সংস্কৃতি সম্পাদক- ইউন্নান বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের নুজহাত ফারহানা।
কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ জাকারিয়া, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মুজাহিদ, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাঈম হাসান, প্রগ্রেস গ্রুপের মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. ইব্রাহিম রহমান রুমী, এইচ অ্যান্ড এন পাবলিকেশনস ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শিবলী নোমান, চীনের নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৌকীর রাশাদ নওয়াজ, সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উম্মে আয়মান আহমেদ মউটুসি ও হেনান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইফতে খাইরুল হক ইমন।
উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা হলেন, চায়না মিডিয়া গ্রুপের বাংলাদেশ ব্যুরোর প্রধান প্রতিবেদক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী, বেইজিং ফুওয়াই হাসপাতালের ড. মিসবাহুল ফেরদৌস এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুল হক।
সেমিনারে মূল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, চীন ১৯৪৯ সাল থেকে অন্তত ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কীভাবে ভেতর থেকে বদলে গেছে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সুযোগ আছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সব যুগেই সম্পর্ক ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ যখন বাংলার স্বাধীন সুলতান ছিলেন, বিশেষ করে ১৩৯৩ সাল থেকে শুরু করে ১৪০৮ সাল পর্যন্ত তিনি চীনের সঙ্গে বাংলার সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চীনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর ও ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং বলেন, নানা লডাই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চীন ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আজকের অবস্থানে এসেছে। কঠিন সময় পার করলেও এই দলই চীনা জাতির মেরুদণ্ড।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনা টিকা ও চীনে ফেরার ব্যাপারে অগ্রাধিকার পাবে। চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরার ব্যাপারে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
তিনি নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে শুভেচ্ছ ও অভিন্দন জানান। এই সংগঠনটি চায়না-বাংলাদেশ এর সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নিঃসন্দেহে চীন ব্যাপক বদলে গেছে। চীন সার্বিকভাবেই বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিনত হতে যাচ্ছে। আর যখন একটি দেশ অর্থনীতিতে শক্তিশালী হয়, তখন সেই দেশ সুপারপাওয়ারে পরিণত হয়।
সমাপনী বক্তব্যে অ্যাবকা সভাপতি মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, অ্যাবকার সদস্যরা শুধু পড়াশোনা বা গবেষণা নয় বরং অর্থনৈতিক , বাণিজ্যিক উন্নয়ন, চিকিৎসা বা কৃষি ক্ষেত্র সবক্ষেত্রেই ভূমিকা পালন করবে যেমন ।
তিনি আরো বলনে, চীনের ক্ষমতাসীন দল সিপিসি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সিপিসি অসামান্য অবদান রাখছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের এক নম্বর বন্ধু চীন।