অস্ট্রিয়ায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপনে বাংলাদেশ দূতাবাস

মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় উদযাপন করেছে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাস।

এ উপলক্ষে শনিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান তারাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অস্ট্রয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, মিশন উপ প্রধান রাহাত বিন জামান, প্রথম সচিব মালিহা শাহজাহান, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, জান্নাতুল ফরহাদ, রানা বখতিয়ার, খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাইফুল কবির ।

Travelion – Mobile

বক্তারা বলেন, জাতির পিতার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রেরণা ও অবদান রয়েছে।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মুহিত শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত আরাে বলেন, “বঙ্গমাতা ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরােপকারী। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পত্নী হয়েও তিনি সবসময় সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন আদর্শ বাঙালি নারী প্রতিকৃতি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সাথে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরােধী ঘাতকচক্রের হাতে নিহত হন।

তিনি আরাে বলেন, বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”

রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা ও তার পরিবারের সকল শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!