অস্ট্রিয়ায় আবারও ‘পুরোপুরি লকডাউন’ জারি

ইউরোপজুড়ে আবারও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অনেক দেশই নানা বিধিনিষেধ জারি করছে। এর মধ্যে অস্ট্রিয়া পশ্চিম ইউরোপের প্রথম দেশ যারা সংক্রমণের নতুন তরঙ্গ মোকাবেলায় সম্পূর্ণ লকডাউন পুনরায় প্রয়োগ করছে এবং এর পুরো জনসংখ্যাকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে টিকা দিতে হবে বলে সরকার ঘোষণা দিয়েছে।

টিকাবিহীনদের উপর লকডাউন আরোপ করার কয়েকদিন পর, আগামী সোমবার থেকে জাতীয় কোভিড -১৯ লকডাউন (পুরোপুরি লকডাউন) শুরুর ঘোষণা করেছে সরকার অস্ট্রিয়া।

লকডাউনে অস্ট্রিয়ার জনগণকে বাড়িতে থেকে কাজ করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া দোকানপাট বন্ধ থাকবে। শিশুদের জন্য স্কুল খোলা থাকবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর লকডাউনের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।

Travelion – Mobile

ভিয়েনায় একটি সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ বলেন, লকডাউন সর্বাধিক ২০ দিন স্থায়ী হবে এবংআগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা নিতে আইনি বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হবে।

‘আমরা করোনার পঞ্চম ঢেউ চাই না’, সংক্রমণের রেকর্ড ও পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে কম টিকা গ্রহণ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন চ্যান্সেলর শ্যালেনবার্গ।

অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণরূপে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে, যা পশ্চিম ইউরোপের সর্বনিম্ন হারের দেশগুলির মধ্যে একটি। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সপ্তাহে অস্ট্রিয়ায় প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৯৯০ জনের বেশি করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলফগ্যাং ম্যাকেস্টেইন বলেন, করোনার লাগাম টানতে লকডাউন সর্বশেষ উপায়।

ইউরোপের আরেক দেশ স্লোভেনিয়ার সোমবার থেকে টিকা না নেওয়া লোকজনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হেগার । চেক প্রজাতন্ত্রও বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করেছে। নেদারল্যান্ডস আংশিক লকডাউন শুরু করেছে। জার্মানিও টিকা না নেওয়া লোকজনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করতে সম্মত হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!